আত্মা বিরক্ত করায় দম্পতির আত্মহত্যা!

আত্মঘাতী দম্পতি কুণাল-কবিতা।মাঝে তাদের মেয়ে শিরিন।

আত্মা বিরক্ত করায় দম্পতির আত্মহত্যা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

স্বামীর প্রেমিকার আত্মা প্রায়শই বিরক্ত করতো, তাই সন্তানকে হত্যার পর স্বামীসহ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন! মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে এমনটাই লিখে গেছেন এক নারী। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে।

কবিতা নামের ওই নারীর স্বামী কুণালের বাড়িতে একটি সুইসাইড নোট পায় পুলিশ। এই সুইসাইড নোটে কবিতা বেশ কিছু কথা লিখে রেখে গিয়েছেন, যেখান থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

তিনি লিখেছেন, তার স্বামী কুণালের এক প্রেমিকা ছিল। যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কুণাল। কিন্তু পরিবারের আপত্তির কারণে সেই বিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়নি। যার কারণে সেই প্রেমিকা আত্মহত্যা করে।
প্রেমিকার আত্মাই পরে কুণালকে বিরক্ত করতো।

কবিতা আরও লেখেন, ‘এই আত্মা কাউকে মারতে না চাইলেও শান্তিতে বাঁচতে দিচ্ছিল না। তাই অনেক চিন্তাভাবনা করেই আত্মহত্যার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমি জানি, বিশ্বের কেউ এইসব কথা বিশ্বাস করবে না, পাগল ভাববে। ’

এই সুইসাইড নোট প্রসঙ্গে পুলিশ কুণালের মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন,‘কুণাল একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তার কথা বারবার বলতো। কিন্তু সেই মেয়ে পরে আত্মহত্যা করে। আর তার আত্মাই কুণালকে বিরক্ত করতো। ’

আহমেদাবাদ ডিসিপি জানান, ‘কুণাল এবং তার স্ত্রী কবিতার আত্মহত্যার পরিকল্পনা অনেক দিন ধরেই চলছিল। ৮ সেপ্টেম্বর কবিতা তার বোনের বাড়িতে ড্রাইভারের হাত দিয়ে ৩টি ব্যাগ পাঠায়, যার মধ্যে জামাকাপড়, সোনার গয়না, টাকা ছিল, এবং সেই সঙ্গে ছিল ওই চিঠিটি। ’

১১ সেপ্টেম্বর কুণাল-কবিতা দম্পতি আত্মহত্যা করে। তাদের বাড়ি থেকে ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজেদের মেয়ে শিরিনকে মেরে ফেলতে প্রথমে এই ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে এবং পরে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয় বলে অনুমান পুলিশের। এখনও পর্যন্ত ‘আত্মা সম্বন্ধনীয়’ অন্ধবিশ্বাসের কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।


সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, ডিএনএ

অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর