যশোরে কথিত অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রাতে মাইকেল মধুসূদন সরকারি কলেজের পুরনো ছাত্রাবাস থেকে কলেজ ছাত্র আব্দুর রহিমকে (২০) উদ্ধার ও ৭জনকে আটক করা হয়। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ধৃত ৭ জনের মধ্যে পুরাতন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম রুম্মন রয়েছেন।
তবে বাকিদের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই ওই ছাত্রাবাসের বাসিন্দা এবং এমএম কলেজের শিক্ষার্থী।কথিত অপহৃত আব্দুর রহিম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শানবান্ধা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। সে কালীগঞ্জ মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
আব্দুর রহিমের বলেন, ১২ দিন আগে তিনি তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় এমএম কলেজের পুরনো ছাত্রাবাসে ওঠে। সেখানে থেকে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়।
তার অভিযোগ, গেল বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রাবাসের রাশেদ, রুম্মনসহ ৭জন তাকে রুম থেকে ডেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে বলে, ‘তোর সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেম আছে। তাকে বিয়ে করতে হবে। ’ এরপর মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি তার বাবা আব্দুল মান্নানকে জানানো হয়।
আব্দুল মান্নান যশোরে এসে পুলিশে অভিযোগ করলে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এইচএম মাহমুদ কাল রাত ২টার দিকে ওই ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ৭জনকে আটক করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, ওই ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ছেলেটি বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আটককৃতরা মেয়েটির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এ ঘটনার পর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এখন ছেলে বা মেয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।
ওসি আরও জানান, দুই পক্ষই সমঝোতা করেছে বলে জানা গেছে। এখন আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। আদালতের মাধ্যমেই ঘটনার নিষ্পত্তি হবে।
অরিন▐ NEWS24