বেঁচে গেল ভারত

হংকংয়ের দুই ব্যাটসম্যান।

বেঁচে গেল ভারত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শুধু অনভিজ্ঞ দল হওয়ার কারণেই ওপেনিংয়ে ৩৪.১ ওভারে ১৭৪ রানের জুটি গড়ার পরও ভারতের কাছে হংকং হারল ২৬ রানে। ভারতের করা ২৮৬ রানের জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে হংকং।

সেই সঙ্গে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো হংকংয়ের। দুর্দান্ত কামব্যাকে জিতে গেল ভারত।

ভারতের ছুড়ে দেওয়া ২৮৬ রান ছোট ছিল না। তবে জবাবে শুরুটা শুভ করেন হংকংয়ের দুই ওপেনার নিজাকাত ও রাথ। দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা। ভারতীয় বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ছিলেন এ ওপেনিং জুটি।
দুরন্ত গতিতে ছুটছিল নবাগত দলটি।

তবে কুলদ্বীপ যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন রাথ। শুরু হল ছন্দপতন। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৯৭ বলে ৪ চারে ৭২ রানের কাঁপন ধরানো ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন হংকং অধিনায়ক। স্থায়ী হতে পারেননি নিজাকাতও। খলিল আহমেদের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি হাঁকান এ ওপেনার। ১১৫ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৯২ রান করেন তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে হংকংয়ের। ২২ রান করেন এহসান খান। ১৭ রান করেন কিঞ্চিত শাহ এবং ১৮ রান করেন বাবর হায়াত। ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তানভির আফজাল। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ এবং ইয়ুযবেন্দ্র চাহাল। ২ উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব।

এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে ভারত। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন শিখর ধাওয়ান (১২৭)। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। ১২০ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় এ ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। এর মাঝে হাফসেঞ্চুরি করেন আম্বাতি রাইডু (৬০)।

প্রথমদিকে ভালোই রান ছিল রোহিত বাহিনীর। এক পর্যায়ে ২ উইকেটেই ২৪০ রান করে ফেলেন তারা। তবে ধাওয়ান ফেরার পরই মড়ক লাগে ভারতীয় শিবিরে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ধোনি । শেষ পর্যন্ত কার্তিকের ৩৩ ও কেদার যাদবের ২৮ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া।

হংকংয়ের হয়ে কিনচিত শাহ নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট শিকার করেন এহসান খান। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন এহসান নেওয়াজ ও আইজাজ খান।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর