নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন সেই খুনি শম্ভুলাল(ভিডিও)

সেই আলোচিত খুনি শম্ভুলাল।

নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন সেই খুনি শম্ভুলাল(ভিডিও)

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতের মুর্শিদাবাদের লাভ জিহাদের অজুহাতে মুসলিম শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুলকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাকারী শম্ভুলালকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আগ্রা থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

ভারতের উত্তর প্রদেশ নবনির্মাণ সেনার সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত জানি বলেছেন, শম্ভুলাল জেলে থাকলেও তাঁর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখেন তিনি। আগ্রা থেকে দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব আগেই দেওয়া হয়েছিল তাকে।

তাতে রাজিও হয়েছে সম্ভু। রাজসামাদে যে কাজ তিনি করেছেন তাঁতে হিন্দু ধর্মের তিনি যে একজন যোগ্য সেনানি তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আগ্রার জন্য এমনই একটা মুখ চাইছিল দল।

এমন একজন দাগী খুনের আসামিকে প্রার্থী করা হচ্ছে কেন এই প্রশ্ন করা হয়েছিল অমিত জানিকে।

তার উত্তরে তিনি পাল্টা আক্রমণ করেন।

বলেন, মুক্তার আনসারি, শাহবুদ্দিনের মতো লোকেরা যদি নির্বাচনে লড়তে পারে তাহলে শম্ভুলাল কেন নয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মুসলিম হয়ে হিন্দু ধর্মে প্রেম করার অভিযোগে ভারতের রাজসমন্দ জেলার মহম্মদ আফরাজুল খান নামে এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতকারী৷ আফরাজুল খান পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা ৷ পরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার পুরো ঘটনা ভিডিও করে হত্যাকারীরা।

ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছেন আফরাজুল। রাম দাঁ হাতে তাঁকে তাড়া করছেন এক ব্যক্তি৷ ধরে ফেলার পর আফরাজুলকে দাঁ দিয়ে কোপাতে থাকেন ওই দুষ্কৃতকারী৷ আহত রক্তাক্ত আফরাজুলের প্রাণভিক্ষার আকুতিতেও কোনও কাজ হয়নি ৷ একের পর এক আঘাতে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে একসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আফরাজুল৷ অজ্ঞান হলেও তখনও প্রাণভিক্ষা চাইছিল হতভাগা৷ ওই অবস্থাতেই আফরাজুলের গায়ে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় শম্ভুলাল৷

সেই সঙ্গে ভিডিওতে বাকিদের উদ্দেশ্যে শম্ভু হুমকি দেয়, অন্য ধর্মে প্রেম করলে এমনই হবে।

পরে শম্ভুলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও স্কুটার জব্দ করা হয়৷

খুনের কারণ হিসেবে জানা যায়, অভিযুক্তের বোনের সঙ্গে মুসলিম যুবক আফরাজুল খানের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় শম্ভুলাল।

আফরাজুলের মৃত্যুতে ভারতের মালদহে তাঁর নিজ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে ৷ তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়- লাভ জিহাদ নয়, ব্যক্তিগত আক্রোশেই আফরাজুলকে খুন করা হয়৷ ‘কাজের জন্য রাজস্থানে যায় আফরাজুল৷ ওর উপর অত্যাচার করা হত৷ টাকা-পয়সা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে তাকে খুন করা হয়৷’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর