রক্তাল্পতার লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকারের উপায়

রক্ত।

রক্তাল্পতার লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকারের উপায়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রক্তাল্পতা বড় কোনও রোগ না হলেও, যে কোনো বড় অসুখের শুরু হতে পারে এ থেকে। তাই শুরু থেকেই রক্তাল্পতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার, পুরুষের রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার, শিশুদের রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার থাকা স্বাভাবিক। কারও রক্তে হিমোগ্লোবিন এর চেয়ে কমে গেলে তিনি রক্তাল্পতায় আক্রান্ত বলেই মনে করা হয়।

এবার রক্তাল্পতার লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। রক্তাল্পতা হলে রোগী অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। সামান্য কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

২। রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক ফ্যাকাশে হয়।

৩। আয়রনের অভাবে রক্তাল্পতা হতে পারে। এই আয়রনের অভাবে অতিরিক্ত চুল ঝরে যেতে শুরু করে।

৪। রক্তাল্পতায় আক্রান্তকে বিষণ্ণতায় ভুগতে দেখা যায়। সারাক্ষণ দুর্বলতা এবং মাথাব্যথা হওয়ার কারণে রোগীকে বিষণ্ণতা গ্রাস করে।

৫। এছাড়াও রক্তাল্পতার আর একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া। রক্তাল্পতার কারণে হৃৎপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত দেহে সঞ্চালনের জন্য পাম্প করতে পারে না। ফলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

রক্তাল্পতার কারণ:

১। পুষ্টিহীনতা এবং শরীরে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি।

২। দীর্ঘদিন ধরে যারা ব্যথার ওষুধ সেবন করেন, তারাও রক্তাল্পতায় ভোগেন।

৩। থ্যালাসেমিয়া-সহ কিছু জন্মগত রোগে আক্রান্তরা রক্তাল্পতায় ভোগেন।

৪। পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষত বা আলসারের কারণে ক্রমাগত বমি বা পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ হওয়া, অন্ত্রে কৃমির সংক্রমণ বা অর্শরোগে (পাইলস) রোগীর অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণেও রক্তাল্পতা হতে পারে।

রক্তাল্পতা প্রতিকারের উপায়:

শরীরে আয়রনের ঘাটতিজনিত কারণে রক্তাল্পতা হলে আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে।

রক্তাল্পতায় অনেকে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। তবে ইচ্ছামতো আয়রন ট্যাবলেট না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো আয়রন খাওয়াই ভালো।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওষুধ ছাড়াই রক্তাল্পতা দূর করা সম্ভব। যেমন, দুধ, শাক-সবজি, মধু, বিভিন্ন ফল ইত্যাদি। যারা ফল খেতে ভালোবাসেন না তারা প্রাণিজ উৎস থেকে আয়রন শরীরের কাজে লাগাতে পারেন।

মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এবং শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া দরকার। পাশাপাশি আয়রন সমৃদ্ধ ওষুধও খেতে পারেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর