দুই স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার, আটক ৪

গৃহবধূ মুখ বেঁধে ধর্ষণ। প্রতীকী ছবি

দুই স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার, আটক ৪

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পাবনায় পৃথক ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীসহ তিনজন ধর্ষণের ঘটনায় ঈশ্বরদী ও সুজানগর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। নির্যাতিত দুই স্কুলছাত্রীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও অপর গৃহবধূকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পাবনা সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, সুজানগর পৌর এলাকার মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা ও পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বুধবার রাতে সুজানগর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কমিশনার সাহেব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটির সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার কেড়ে নিয়ে কমিশনারের বাড়িতে আটকে রাখে তারা। পরে ওই শিক্ষার্থীকে গত দুইদিন ধরে আনাই, নায়েবসহ ৭ যুবক ধর্ষণ করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরে মেয়েটির পরিবারে খবর দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে মেয়েটির পরিবার বাড়ির আসবাবপত্র বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। থানায় অভিযোগ দিয়ে মেয়েটিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

এদিকে একই উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের শোলাকিয়া গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে সাত বখাটে। শুক্রবার বিকেলে ফাকা বাড়িতে ঢুকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে জনাব কাজী, বাতেন কাজী, রাসেল কাজী, আবু মুছা, আরিফ ও কালামসহ সাত জন মিলে ধর্ষণ করে। পরে প্রতিবেশীরা ধর্ষিতা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় সাত যুবককে আসামি করে অপর একটি মামলা হলে জনাব কাজী পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।

অপরদিকে শুক্রবার বিকেলে জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার বরইচরা গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী হযরত আলী। মেয়েটি স্কুল থেকে ফেরার পর বিকেলে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশের একটি লিচু বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের এই ঘটনা জানালে পরিবারের লোকজন ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে। মেয়েটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষেয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক শামিমা খাতুন পলি জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় সুজানগরের মেয়েটিকে গণধর্ষণের আলামত মিলেছে, ঈশ্বরদীর ঘটনায় শিশুটিকে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে।

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পাবনার দুটি উপজেলায় তিন ধর্ষণের ঘটনায় তৎপর রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর