রাঙামাটিতে অগ্নিকাণ্ডে ২৩টি দোকান পুড়ে ছাই

গভীর রাতে রাঙামাটির আজম মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৩টি দোকান পুড়ে যায়

রাঙামাটিতে অগ্নিকাণ্ডে ২৩টি দোকান পুড়ে ছাই

ফাতেমা জান্নাত মুমু▐ রাঙামাটি

রাঙামাটির কাউখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৩টি দোকান পুড়ে গেছে। আজ (২৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরের আজম মার্কেট এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজম মার্কেটের একটি দোকানে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। সেটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের দোকানে। এতে ওই মার্কেটর অন্তত ২৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।  

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাউখালী আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার মো. সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী।

খবর দেওয়া হয় রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসকেও।  

পরে স্থানীয়দের সহাযোগিতায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু এর আগে মার্কেটের অনেকগুলো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন- মো. রমজান (বয়স ২৫ বছর, কাপড়ের দোকান), মো. আযাদ (বয়স ৩০ বছর, কাপড়ের দোকান), মো. জাকির (৩৫, কাপড়ের দোকান), মো. ইউছুপ (৩২, কাপড়ের দোকান), মো. সেলিম (২৬, পোল্ট্রি মুরগির দোকান), রিপন নাথ দে (৩০, ফার্মেসি), সজল (২৫, সেলুনের দোকান), সধ্যবধি বড়ুয়া (৬০, কাপড়ের দোকান), দিপেন (৩৮, স্বর্ণের দোকান), সুজন চৌধুরী (৪০, স্বর্ণের দোকান), বিমল শীল (৪০, সেলুনের দোকান), মো. কুরবান আলী (৩৫, লাইব্রেরির দোকান), ডাক্তার সুপ্রীয় বড়ুয়া (৪০, হোমিওপেথিক ফার্মেসি), শ্যামল (৩০, কীটনাশকের দোকান), ঝন্টুলাল দে (৪৫, জুতার দোকান), মো সেলিম (৪৫, লাইব্রেরির দোকান), টুন্টু লাল দে (৬০, মুদির দোকান), বাপ্পু দে (৪৫, মুদির দোকান), দীপক চাকমা (৪৫, চায়ের দোকান), কলম্পতি (কাঠ ব্যবসায়ী), মো. ফেরদাউস (২৫, কাপড়ের দোকান), মো. আলমগীর (৩০, কাপড়ের দোকান) এবং ধনঞ্জয় দাস (৩২, লন্ড্রির দোকান)।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক কোটি টাকার বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ী মো. আযাদ ক্রন্দনরত কণ্ঠে বলেন, ‘শেষ রাতের দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তখন সবাই ঘুমিয়েছিল। তাই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাঙামাটি শাখার সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক মো. দিদারুল আলম বলেন, খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করে জানতে পারি, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। ’


মুমু▐ অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর