পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান

ফাতেমা জান্নাত মুমু  • রাঙামাটি

প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, ২৯৯ নং (রাঙামাটি) আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিও চায় পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হোক। এ দাবি শুধু আওয়ামী লীগের হবে কেন? আমরাও চাই।

তিনি বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে চাঁদাবাজি, খুন, গুম ও অপহরণ করে তাদের শাস্তি হোক। জনসংহতি সমিতি পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করেছিল।

যারা পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়,তারাই মূলত অবৈধ অস্ত্রের মদদ দিচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে নির্মুল করা উচিত। কে জানে সরিষার মধ্যে ভূত লুকিয়ে আছে কি না!’
 
আজ (২৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার) দুপুরে রাঙামাটি শহরে নিজস্ব কার্যালয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে একান্ত  আলাপকালে এমপি ঊষাতন তালুকদার এসব কথা বলেন।

এমপি ঊষাতন আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি অবৈধ অস্ত্রধারী বা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পরিচালনা করে না।

অবৈধ অস্ত্রধারীদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সরকার ও প্রশাসনের। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও সরকারের। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগিতা চাইলে সে ক্ষেত্রে আমরা আছি। সন্ত্রাস দমনে জনসংহতি সমিতি অবশ্যই কার্যকর ভূমিকা রাখবে, যাতে পাহাড়ে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়।  

তিনি বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে জনসংহতি সমিতি কাজ করে যাচ্ছে। তাই বর্তমান সরকারও শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক। কিন্তু কিছু মৌলবাদী ও স্বার্থবাদীদের ষড়যন্ত্রের কারণে শান্তি চুক্তির মৌলিক অংশগুলো এখনো বাস্তবায়ন হতে পারেনি। ’

‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাহাড়ের মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। কারণ পাহাড়ের মানুষ জানে, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এবারের নির্বাচনেও জনগণ তার সঠিক রায় দিবেন। ’

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান।



মুমু▐ অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর