পাল্টে যাচ্ছে প্রাথমিকে শিক্ষিকা নিয়োগের বিধিমালা

পরীক্ষার হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা

পাল্টে যাচ্ছে প্রাথমিকে শিক্ষিকা নিয়োগের বিধিমালা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা বদলে যাচ্ছে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, পদোন্নতিসহ ৫টি ক্ষেত্রে আনা হচ্ছে পরিবর্তন।  

সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসছে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতায়। নতুন নিয়মের অধীনে প্রাথমিকে শিক্ষিকা পদে আবেদনে নারীদেরও কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে।

বর্তমান নিয়মে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাশেই শিক্ষিকা পদে আবেদন করতে পারেন নারীরা।

ইতোমধ্যে সংশোধিত বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই), যা আগামী রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিব কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।  

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সংশোধিত বিধিমালায় ৫টি পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় পুরুষ ও নারীর জন্য পৃথক শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষের জন্য স্নাতক আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।

সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এতদিন স্নাতক পাশ হলেই আবেদন করা যেত। নতুন বিধিমালার খসড়ায় এই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতদিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ২৫-৩৫ বছর। কিন্তু এখন এই পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১-৩০ বছর।

তথ্যমতে, আগে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫% পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিধান ছিলো। সেটি পরিবর্তন করে সরাসরি পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৮০%, বাকি ২০% পদোন্নতি পিএসসি’র মাধ্যমে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমানে যে কোনো বিষয়ে পাশ করা প্রার্থীর সমান সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এতে মানবিক বিভাগ থেকে আসা শিক্ষকরা গণিত ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো সহজে আত্মস্থ করতে পারেন না। এ কারণে নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট পদের শতকরা ২০% বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে থেকে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ক্লাস্টার বা উপজেলাভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত শিক্ষক রাখারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

নতুন বিধিমালা কার্যকর হলে শিক্ষক নিয়োগ আগের মতোই উপজেলা বা থানাভিত্তিক হবে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত সহকারী শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সুপারিশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে এই পদে সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাবে না।  

এছাড়া বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এমন ব্যক্তিকে বিবাহ করেছেন অথবা বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না।

 

অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর