হৃৎপিণ্ড সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন

হার্ট অ্যাটাক (প্রতীকী ছবি)

হৃৎপিণ্ড সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

হার্ট বা হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখতে কিন্তু সারা বছরই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। যার অনেকগুলো সম্পর্কেই আমরা সচেতন নই। অথচ কার্ডিয়াক অ্যাটাক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে এ সব নিয়মের জুড়ি নেই। জানেন সেসব নিয়ম কী কী?

=======

• কম বয়স থেকেই হার্টের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস করুন।

বাড়িতে শিশু থাকলে তাকেও এ সম্পর্কে সচেতন করুন।  

• হৃদযন্ত্রে জটিলতা না থাকলেও প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর চেক আপ করান বাড়ির সব সদস্যের হার্ট।  

• যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট রিসার্চ অ্যাসোশিয়েশন বলছে, জোরে হাসুন। প্রাণ খুলে হাসলে হার্টের ভাল্ব ভালো থাকে।

জোর করে হাসি নয়, মন ভাল থাকার কাজে যুক্ত থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাসুন।

• হার্ট ভাল রাখতে আজই ধূমপান বন্ধ করুন। প্যাসিভ স্মোকিংও সমান ক্ষতিকর। হার্টের সিংহ ভাগ ক্ষতি হয় স্রেফ নিকোটিন থেকে। তাই আজই তামাক ছাড়ুন।

• হার্ট ভাল রাখতে খাবারের মেন্যুতে রাখতে হবে সবুজ শাক-সব্জি। তেল, মাখনও নিয়ন্ত্রণ করুন। রেড মিট খেতে চাইলে চর্বি বাদ দিয়ে কিনুন। তাও সপ্তাহে এক দিন দুই-তিন টুকরোর বেশি নয়।  

• গবেষণা বলছে, কার্বোহাইড্রেটও হার্টের জন্য ভাল নয়। তাই লো কার্বস ডায়েট বজায় রাখুন।

• ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’র সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি দিন গড়ে যে পরিমাণ লবণ খান, তা থেকে অর্ধেক চামচ নুন কমিয়ে দেখুন! হার্টের অনেক অসুখ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে।

• হার্টের পক্ষে উপকারী ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন পেতে রোজ খাদ্য তালিকায় রাখুন আমন্ড ও কাজুবাদাম। কার্ডিওভাস্কুলারের নানা অসুখ রুখে দিতে পারে এই খাবার।

• ঠিক সময়ে প্রাতরাশ সেরে ফেলুন। আমরা অনেকেই প্রাতরাশের জন্য আলাদা করে সময় দিই না। মাঝে মধ্যে সকালে নাস্তা না করেই সরাসরি দুপুরের খাবার খাই। এই অভ্যাস হার্টের জন্য একেবারে ভাল নয়। বরং ভারি প্রাতরাশ করুন। দুপুর ও রাতের খাবার রাখুন হালকা।

• ডার্ক চকোলেট রাখুন ডায়েটে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফ্ল্যাবোনেট হার্টের পেশীর জন্য খুব উপকারী। তবে দিনে তিন-চার টুকরোর বেশি খাবেন না।

• জাঙ্ক ফুড ও ঠাণ্ডা পানীয় একেবারে নয়। হার্টের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকারক এই ধরনের খাবার। এই খাবারগুলোর ফ্যাট, অ্যাডেড সুগার ও সংরক্ষণের উপযোগী করে তোলার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক হার্টের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

• শারীরিক কসরত করুন। কিছু না পারলে জোরে হাঁটুন অন্তত আধা ঘণ্টা।  

• শরীরের সঙ্গে মনেরও যত্ন নিন। মানসিক চাপ কমিয়ে সুস্থ থাকুন। প্রিয় জনের সঙ্গে হাসি-আনন্দ-খুনসুটিতে ভরিয়ে রাখুন জীবন। ব্যক্তিগতভাবে সুখী মানুষের হার্টের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো হয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

=======

অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর