জনসভা ঘিরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি

জনসভা ঘিরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা ঘিরে গত শনিবার রাত থেকেই ঢাকা মহানগরীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ তল্লাশি করেছে। বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় তিনি গ্রেপ্তার নেতাকর্মীর তালিকা প্রকাশ করেন।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, গতকাল বিএনপির জনসভা মহাসাগরে পরিণত হয়। চারদিক থেকে ধেয়ে আসা জনস্রোতে সোহরাওয়ার্দীর বিশাল প্রান্তর কানায় কানায় ভরে যায়। রমনা পার্কসহ আশপাশের রাস্তাঘাট, মোড় ও ফুটপাত মিটিং শুনতে আসা মানুষে ঠাসা ছিল। শাহবাগ, কাকরাইল, মৎস্যভবন এলাকা সংলগ্ন এলাকায়ও ছিল উর্মিমালার মতো জনতার ঢেউ।

অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বিএনপির সমাবেশের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপির জনপ্রিয়তা কমেছে। এর উত্তরে নীরব হাসি ছাড়া আর কিইবা বলতে পারি।

তিনি আরও বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এখন হতভাগ্য দেউলিয়াগ্রস্ত রাজনীতি। সে জন্যই খাপছাড়া কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। জনসভায় বিপুল সমাগম দেখে সরকারের কাঁপুনি ধরে গেছে, সে জন্যই বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক হারে গ্রেপ্তারকে সরকার রক্ষাকবচ মনে করছে। এ জনসভা ঘিরে বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির টাকা খরচ করেও সমাবেশে মানুষ আনতে পারেন না। অথচ বিএনপির সমাবেশে পথে পথে সরকারি দলের বাধার মুখেও বিপুল মানুষের সমাগম হয়। এতে তারা হতাশ হয়ে প্রলাপ বকছেন। একতরফা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আওয়ামী নেতারা কত তামাশা দেখাচ্ছেন আর কত যে উদ্ভট কথা বলছেন তার শেষ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

 

NEWS24কামরুল

সম্পর্কিত খবর