স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে বখাটের যাবজ্জীবন

আদালতের রায় ঘোষণার পর ধর্ষক শাহজামালকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে বখাটের যাবজ্জীবন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শেরপুরে শ্রীবরদী উপজেলার স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে বখাটে শাহজামাল ওরফে শাহ আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ধর্ষিতা প্রদানের আদেশ দেয়া হয়েছে।

আজ (৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান এ রায় দেন।  

সাজাপ্রাপ্ত শাহজামাল সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরী তেঘরিয়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২০ জুলাই বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই কিশোরীকে অপহরণ করে শাহজামাল ওরফে শাহ আলম। এরপর নিজের মুদি দোকানে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করার পর ধর্ষণ করে।  

পরে ওই মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে ছেলেদের পোশাক পরিয়ে ঘটনার ৩ দিন পর মেয়েটির বাড়ির পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে আসে।  

এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হলে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহণ করে ধর্ষক শাহআলমকে গ্রেপ্তার করে।

কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে অপহরণ ও ধর্ষণ ঘটনাটিকে ধাপাচাপা দিতে ভুয়া সাক্ষ্য বানিয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।  

পরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, শেরপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বাদী পক্ষের পাশে আইনগত সহায়তায় এগিয়ে এলে পুলিশের প্রতিবেদনের বিপক্ষে আদালতে নারাজি দেয়া হয়।  

এক পর্যায়ে আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্তের পর পুলিশ শাহজামালকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার শাহআলমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিশোরীর ওপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাটি পুলিশের অবহেলায় বিচার বঞ্চিত হতে চলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ’

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, রায়ের বিপক্ষে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

 

অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর