কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়া

কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়া

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আনা হয়েছে।

শনিবার বিকেল তিনটা ১০ মিনিটে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেওয়ার জন্য বের করা হয়। বেলা পৌনে চারটার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের একটি পেট্রোল কারে করে তাঁকে বিএসএমএমইউতে আনা হয়।

এখানে চিকিৎসাকালীন খালেদা জিয়া ভিআইপি কেবিনে থাকবেন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিএসএমএমইউতে দুটি কেবিন দুপুর থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

খালেদা জিয়া ৬১২ নম্বর কেবিনে থাকলেও তার জন্য পাশের ৬১১ নম্বর কেবিনটিও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ওই কক্ষে তার সহকারী বা কারা নিরাপত্তারক্ষীরা থাকতে পারবেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে আজকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা তাঁদের কাছে নেই।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গদ ৪ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করতে ও চিকিৎসাসেবা শুরু করতে পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসক আবদুল জলিল চৌধুরী ও বদরুনেসা আহমেদ এ বোর্ডে থাকবেন।

আদালত এও বলেছেন, আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) তাঁর পছন্দ অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্ট, গাইকোনকলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান নিতে পারবেন। তবে বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি বাইরে থেকেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনতে পারবেন।

ইউনাইটেড বা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া রিট করেন। আবেদনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করার নির্দেশনাসহ তাঁর চিকিৎসাসেবা–সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পুরান ঢাকায় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পাঁচ মাসের মাথায় ১২ জুলাই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর