‘প্রচারের জন্য অনেক মেয়ে জামাকাপড়ও খুলছে’

তনুশ্রী-নানা পাটেকর

‘প্রচারের জন্য অনেক মেয়ে জামাকাপড়ও খুলছে’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নানা পাটেকরের সঙ্গে তনুশ্রীর ১০ বছর আগের যৌন হেনস্থার ঘটনায় এখন ঝড় তুলেছে বলিউডে। এভাবে মুখ খোলায় তনুশ্রীর প্রশংসা করেছেন বিটাউনের অনেকেই।

তবে কয়েকজন তনুশ্রীর অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলিউডের নামজাদা ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে টেপ প্রকাশ করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

তা শুনে মনে হচ্ছে, উপর থেকে ঝাঁ চকচকে হলেও বলিউডের মানসিকতা এখনও মধ্যযুগের!

ভারতীয় গণমাধ্যম জি-নিউজ জানায়, ২০০৮ সালের ছবি 'হর্ন ওকে প্লিজ' ছবির একটি দৃশ্যে নানা ও তনুশ্রীর একসঙ্গে অভিনয় নিয়ে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। ওই ছবিতেই নানা পাটেকর তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তনুশ্রী দত্ত।  

গুরুতর এই অভিযোগ নিয়ে তনুশ্রীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন 'হর্ন ওকে প্লিজ' ছবির প্রযোজক সামি সিদ্দিকি, ছবির পরিচালক রাকেশ সারাঙ্গ, সিনে ও টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য রাজা মুরাদ ও এফটিটিআই-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান গজেন্দ্র চৌহান।

চ্যানেলের একটি টেপে সামি সিদ্দিকিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আমি কি সত্যিটা বলব? আমার মনে, তনুশ্রীর পিরিয়ড চলছিল, তাই বিরক্তি স্বাভাবিক।

ছোট্ট স্পর্শ, অথবা অন্য কিছু এমনকি আমি জানিই না ঠিক কী ঘটেছে। কারণ, আমি সেখানে ছিলাম না


ঘটনা থেকে হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন বিজেপি ঘনিষ্ট তথা এফটিটিআই-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান গজেন্দ্র চৌহান। তাঁর কথায়,''সিনটা কী করবে? এই সংগঠন পুলিশ নয়। নানা পাটেকরকে হাজিরার সমন পাঠাতে পারে না। কীভাবে প্রমাণিত হবে নানা দোষী?

তিনি আরও বলেন, আগে তনুশ্রীকে প্রমাণ করতে হবে তিনি যৌন হেনস্থার শিকার। একটা অভিযোগ করলেই কেউ নির্যাতিতা হয় না। ১০ বছর ধরেই নির্যাতিতা হয়ে ঘুরছে তনুশ্রী।

পরিচালক রাকেশ সারাঙ্গের অভিযোগ, বিগ বসের কারণে এসব অভিযোগ করছেন তনুশ্রী দত্ত।

তাঁর কথায়, ইন্টারনেটে নিজেদের সেক্সের ভিডিও দিচ্ছে মেয়েরা। এটাই হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রচারের জন্য জামাকাপড় খুলছে অনেকে। তারা মনে করছে, নাম খারাপ হলেও প্রচার তো মিলবে। এমনকি পুলিশে না গিয়ে কেন তনুশ্রীর সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাকেশ।

তনুশ্রী অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন রাজা মুরাদ। তাঁর কথায়, নানা পাটেকর ভদ্রলোক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরও সিনটায় মামলার উপরে নজর রাখতে পারত তনুশ্রী।

মঙ্গলবার অবশ্য বিবৃতি জারি করে সিনটা জানায়, কোনও ব্যক্তির সম্মান হরণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনা কাম্য নয়। তীব্র নিন্দা করছি। এমনকি ২০০৮ সালে যখন নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে সিনটায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তনুশ্রী দত্ত, তখন কোনও পদক্ষেপই করেনি তারা।

তাদের দাবি, '২০০৮ সালে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তনুশ্রী দত্ত। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জয়েন্ট ডিসপুট সেটলমেন্ট কমিটি ও ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি প্রোডিউসারস কাউন্সিল (তখন নাম ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব মোশন পিকচার্স অ্যান্ড টিভি প্রোগ্রাম প্রোডিউসারস)। ওই সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল না। যৌন হেনস্থার অভিযোগটি খতিয়ে দেখাই হয়নি'।

আরও পড়ুন: ছাত্রী ধর্ষণের ভিডিও ধারণ, অতঃপর...

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর