২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামিরা কে কোথায়?

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চিত্র

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামিরা কে কোথায়?

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় পরপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল৷ হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেই মামলার রায় আগামীকাল বুধবার (১০ অক্টোবর)।  

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ যাত্রী পরিবহন সংস্থা হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ হানিফের বিরুদ্ধে। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, হানিফ বর্তমানে ভারতে আত্মগোপনে রয়েছেন।

জানা যায়, হানিফ ও তার বড় ছেলে সাভার বিএনপি’র রাজধানীর সাথে জড়িত। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির লোকজনের সাথেও তাদের ওঠা-বসা ছিল। হামলার পরপরই যখন হানিফের নাম উঠে আসে, তখনই তিনি কলকাতায় আত্মগোপন করেন।  

তবে তদন্তের বিভিন্ন সূত্র ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ পরে জানিয়েছে, মোস্ট ওয়ান্টেড হানিফ প্রথম দিকে কলকাতায় আত্মগোপনে থাকলেও পরে ভারত ছেড়েছে৷ তবে তার বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি।

১৪ বছর পার হয়েছে সেই গ্রেনেড হামলার। ঘটনায় জড়িতদের অনেকেই বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জোরদার হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে জামায়াত ইসলামি নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজকর্ম ও মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যায় জড়িত থাকার কারণে কার্যকর হয়েছে। এছাড়া আসামিদের মধ্যে অন্যতম তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বন্দি। তবে এখনো পলাতক রয়েছেন ১৮ জন।

এক নজরে বিভিন্ন দেশে পলাতকরা:

লন্ডনে রয়েছেন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। তিনি এখন বিএনপির কর্ণধার। লন্ডন থেকেই দল পরিচালনা করছেন তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তিনিই।

হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হারিছ চৌধুরী। তিনিও রয়েছেন ব্রিটেনের রাজধানীতে।

 অভিযুক্ত এটিএম আমিন ও সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার আছেন কানাডায়।

 দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন দুই আসামি রাতুল বাবু ও তাজউদ্দিন।

 মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন খান সাইদ হাসান এবং ওবায়দুর রহমান।  

এছাড়া বেনামে অনেকেই বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছেন। তদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পায়নি পুলিশ।



অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর