প্রাণভয়ে মালদ্বীপ ছাড়লেন ৪ নির্বাচনী কর্মকর্তা

প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন বলেছেন আদালতের আদেশের ওপর নির্ভর করছে মালদ্বীপের পরিস্থিতি।

প্রাণভয়ে মালদ্বীপ ছাড়লেন ৪ নির্বাচনী কর্মকর্তা

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বড় রকমের ঝামেলায় আছেন মালদ্বীপের নির্বাচন কমকর্তারা। এরইমধ্যে খুনের ভয়ে চার কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনজন শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় আশ্রয় নিলেও বাকিজনের খোঁজ মিলছে না।

বিগত নির্বাচন নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের রাজনীতি এখন উত্তপ্ত।

গত সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে হেরে যায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের দল প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালডিভস। তবে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি ইয়ামিন। তিনি পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন। কিন্তু তার দাবি মেনে নেয়নি নির্বাচন কমিশন।
 আগামী নভেম্বরেই নতুন জোটের সরকার গঠন করার কথা। এই অবস্থায় আব্দুল্লাহ ইয়ামিন ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে আছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন চার কর্মকর্তা। দেশে এখনও রয়েছেন দুই নির্বাচন কর্মকর্তা। পালিয়ে যাওয়া কর্মকর্তারা আশ্রয় নিয়েছেন শ্রীলঙ্কায়। তাদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, হুমকির কারণে আমি দেশ ছেড়েছি।  

মালদ্বীপে থাকলে যে কোনো মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারেন বলে ধারণা এই কর্মকর্তাদের।  

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত মালদ্বীপের রাজনীতির মাঠ। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন হঠাৎ করেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। বিরোধীদের গণহারে কারাগারে ঢোকান। বাদ যাননি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরাও।

এরপর গত সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জোটের কাছে হেরে যায় ইয়ামিনের দল। জোট সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন মালডিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ। এ পরিস্থিতিতে ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইয়ামিন।

এদিকে মালদ্বীপের নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে ইয়ামিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশা করে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন জনমতকে সম্মান জানাবে এবং দ্বায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সম্পর্কিত খবর