'কৃষিখাতেও যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ'

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

'কৃষিখাতেও যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ'

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষিখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের সাহসী নীতিমালা গ্রহণ, গ্রামীণ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়িত করা এবং ক্ষুদ্র চাষী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা প্রদানের মতো বিষয়গুলো।

১২ অক্টোবর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলতি ৭৩তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কমিটিতে ‘কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি’ বিষয়ক এক সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন ।

দেশের কৃষিখাতের উন্নয়ন পরিক্রমা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন চাল উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

পরবর্তীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাদযোগ্য জমির হ্রাস, শিল্প খাতের সম্প্রসারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব মোকাবিলা করেও মাত্র ৮.৫ মিলিয়ন হেক্টর আবাদি জমি নিয়ে তিনগুণেরও বেশি অর্থাৎ ৩৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করছে। বৈশ্বিক অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদন-২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। মাথাপিছু দৈনিক মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম হলেও বাংলাদেশ জোগান দিচ্ছে মাথাপিছু ৬২.৫৮ গ্রাম মাছ।

জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৪.৭৫% এবং এখনও দেশের শ্রমশক্তির বৃহৎ অংশ ধারণ করছে এ খাত উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার লাভজনক কৃষি, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত করার লক্ষ্যে জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ প্রণয়ন করেছে।

তিনি বলেন, সরকার কৃষকদের মাঝে সময়মতো কৃষি উপকরণ বিশেষ করে উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার, সেচ সুবিধা ও কীটনাশক প্রদান করছে যা আমাদের প্রতিশ্রুত এসডিজি-২ এর সফল বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখছে। এছাড়া কৃষি গবেষণা ও এর প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করছে সরকার। তিনি সরকারের বিশেষায়িত প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার এবং কৃষি উদ্ভাবন বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও লবণাক্ততা কমিয়ে আনার কথা উল্লেখ করেন।

 

NEWS24কামরুল

সম্পর্কিত খবর