পূজামণ্ডপের খরচ ২৫ লাখ, ভেতরে আছে শিশু পার্ক

চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে

পূজামণ্ডপের খরচ ২৫ লাখ, ভেতরে আছে শিশু পার্ক

বান্দরবান প্রতিনিধি

বৃহত্তর চট্টগ্রামে এবারও সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ বান্দরবানে। প্রতি বছরের মতো এবারও বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে। এটি শুধু বান্দরবান জেলারই নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ।

এতে এবার নতুন যোগ হয়েছে শিশু পার্ক।

এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় আধা ঘণ্টা আতশবাজি প্রদর্শনী থাকবে এ পূজামণ্ডপে। এসব আয়োজনের জন্য পূজামণ্ডপকে ঘিরে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা।

আয়োজকরা জানান, প্রাসাদ নির্মাণ, প্রতিমা তৈরি, প্রতিমা প্যান্ডেল, সাংস্কৃতিক প্যান্ডেল, লাইটিংসসহ বিভিন্ন কারুকার্য ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আর এতে খরচ হয়েছে ১৮ লাখ টাকা।

এখনো প্রতিমার লাইটিং, সাউন্ড সিস্টেম, বাইরের কারুকার্যসহ বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক কাজে আরো প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বৃহত্তর এই পূজা দেখতে বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।

এ বিষয়ে বান্দরবানের পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রতন কান্তি দে বলেন, বান্দরবানের রাজার মাঠে যে মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে সেটি বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ। প্রতি বছর হাজারও পর্যটক এ মণ্ডপ দেখতে আসে। এবারও আশা করছি অনেক পর্যটক আসবে।

বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাশ শেখর বলেন, ‘জেলায় এবার সব মিলিয়ে পূজামণ্ডপ হবে ২৭টি, যার মধ্যে জেলা সদরে হবে ১০টি। এ ১০টি মণ্ডপের মধ্যে স্থানীয় রাজার মাঠের মণ্ডপটি বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ। ’

বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লক্ষীপদ দাশ বলেন, ‘বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপকে কেন্দ্র করে এখানে সাত দিনব্যাপী একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে প্রচুর পর্যটক ও দর্শনার্থীরা বেড়াতে আসবে বলে আমরা মনে করছি। ’

বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বান্দরবানের ৭ উপজেলায় মোট ২৭টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে ১০টি বান্দরবানে। এখানে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে প্রত্যেক মণ্ডপ পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে। নিয়মিত টহল দিচ্ছে মোবাইল পুলিশ, সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। ’

সম্পর্কিত খবর