ফেরি থেকে নদীতে পড়ে গেল শিশু, অতঃপর...

নিখোঁজ শিশুকে খুঁজছে ডুবরির দল।

ফেরি থেকে নদীতে পড়ে গেল শিশু, অতঃপর...

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

দৌলতদিয়া ফেরি থেকে পড়ে রুকাইয়া (৫) নামের এক কন্যা শিশু নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার রাত দুটার দিকে দৌলতদিয়া ৩নং ফেরি ঘাটে নোঙ্গর করা রজনীগন্ধা ফেরিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ শিশু রুকাইয়া ঝিনাইদহের শোলকোপা উপজেলা মাছ ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া ও জেসমিন আক্তারের মেয়ে।

জানা যায়, সোমবার রাত দুটার দিকে ঝিনাইদহ শোলকোপা থেকে শ্যালোকের অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া ৩নং ফেরি ঘাটে আসেন।

পরিবারের সবাইকে নিয়ে নোঙ্গর করা রজনীগন্ধা ইউটিলিটি ফেরি’র উপরে উঠেন। এসময় শিশুটির মা জেসমিন আক্তার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে বাথরুমের কাছে রেখে তিনি বাথরুমে যান। এমন সময় হঠাৎ একটা ফেরিতে ঝাঁকুনির শব্দ হয়। ওই সময় আশে-পাশে থাকা লোকজন চিৎকার করে বলে উঠে একটি শিশু নদীতে পরে গেল।
এসময় শিশুটির মা বাথরুমে ছিলেন। কিন্ত ফেরির ঝাঁকুনিতে নদীতে স্রোত থাকায় গভীর রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। সে সময় কোলের সন্তানকে হারিয়ে পরিবারের লোকজনের কাঁন্নায় হ্নদয়-বিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

নিহত শিশুর বাবা সেলিম মিয়া বলেন, শ্যালোকের অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এসে রজনীগন্ধা ফেরিতে উঠি। বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে ফেরিতে ওঠার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ফেরি ঝাঁকুনির শব্দ পাই। ওই সময় আশে-পাশে থাকা লোকজন বলে উঠে একটি শিশু নদীতে পরে গেল। এসময় শিশুটির মা বাথরুমে ছিলেন।  
পরে অনেক খুঁজেও ওই সন্তানের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নদীতে স্রোত থাকায় ফেরিতে গাড়ি ওঠা-নামা করার সময় ঝাঁকুনি লাগে। শিশু বাচ্চাটিকে বাথরুমের কাছে রেখে তিনি বাথরুমে যান। পরিবারের ধারনা ফেরি’র ঝাঁকুনিতে শিশু বাচ্চাটি নদীতে পরে যায়। ঘটনাটি জানা মাত্রই রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাব অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন খলিফা জানান, টেলিফোনে সংবাদ পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থালে চলে এসেছি। আমাদের ডুবুরি টিমও চলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে দেয়। তবে নদীতে স্রোত থাকায় সকাল সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়েও নিখোঁজ শিশুটিকে পাওয়া না যাওয়ায় উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/শামীম/তৌহিদ)