ঘূর্ণিঝড় তিতলির আঘাতে মারা যায় ৭ বছরের শিশু ববিতা। লাশের ময়নাতদন্ত করাতে হবে বলে ববিতার বাবাকে বলে পুলিশ।
কিন্তু দরিদ্র বাবার গাড়ি ভাড়া করার টাকা না থাকায় মেয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে ৮ কিলোমিটার পথ হেটে হাসপাতালে যেতে হয়। হতভাগা ওই বাবার নাম কুন্দ দোরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওড়িশ্যার গজপতি জেলার আতঙ্কপুর গ্রামে গত ১১ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় মুকুন্দ দোরার ৭ বছরের মেয়ে ববিতা।
ববিতার বাবা জানায়, তিতলির সময় ঘরচাপা পড়ে ববিতার মৃত্যু হয়। বুধবার মৃতদেহটি পাওয়া যায় একটি নালার মধ্যে।
লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ।
পরে পুলিশ লাশের ছবি তুলে নিয়ে তা ময়নাতদন্তের জন্য ভবানীপাটনা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
কুন্দ দোরা বলেন, পুলিশ লাশ নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি। পুলিশ বলে, মেয়ের লাশ নিয়ে বাবাকেই হাসপাতালে যেতে হবে। এজন্য গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য না থাকায় মেয়ের লাশ বস্তায় ভরে কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এর আগে ২০১৬ সালে সেখানে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেবার স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে স্বামীকে ১০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছিল।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
