এভ্রিলের রোল মডেল

জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলI -ফাইল ছবি

এভ্রিলের রোল মডেল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল।   'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের' সেরার খেতাব জিতে রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। সেই আলোচনা আরও ব্যপ্তি পায় যখন তথ্য গোপনের অভিযোগে সেই খেতাব চলে যায় অন্যের কাছে। রাতারাতি আলোচনা পরিবর্তিত হয় সমালোচনায়।

তবে কোন কিছুতেই দমে যাননি এভ্রিল। উল্টো এই অভিজ্ঞতা নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।  

মেধা, দক্ষতা ও সৌন্দর্য্যের জন্য প্রশংসিত হন এভ্রিল।  কিন্তু দ্রুতই প্রতারণার জন্য সমালোচিতও হন তিনি।

 তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় দেশের সেরা সুন্দরীর মুকুট।   
এরপরও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন দেশের নারীদের নিয়ে কাজ করার। বাল্যবিয়ে বন্ধে জনসচেতনতা গড়তে ভূমিকা রাখার দৃঢ় সংকল্প করেন। কারণ এই বাল্যবিয়েই এভ্রিলের মাথা থেকে মুকুট সরিয়ে দিয়েছে। এভ্রিলের জীবনে অল্পসময়ে যা ঘটেছে তার থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। কিন্তু এভ্রিল পেরেছেন। নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।

এর পেছনে রহস্য কী? কার কাছে থেকে তিনি এ শক্তি পান?

সম্প্রতি চ্যানেল আই অনলাইনের ফেসবুক লাইভে এভ্রিল এর উত্তর দিয়েছেন।  এভ্রিল বলেছেন, জীবনে তিনজন নারীকে তিনি রোল মডেল হিসেবে মানেন।   তারা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেগম রোকেয়া ও মাদার তেরেসা।  

এভ্রিল বলেন, জানি কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না।  কিন্তু আমি বলছি, আমি বইয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অনেক পড়েছি। বেগম রোকেয়াকে নিয়ে পড়েছি, আমি মাদার তেরেসাকে নিয়ে অনেক কিছু পড়েছি। এখন আমার জীবনে কারো যদি কোনো ভূমিকা থাকে তাহলে আমাকে শেখ হাসিনা, বেগম রোকেয়া এবং মাদার তেরেসার নাম বলতেই হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এভ্রিল বলেন, বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মানসম্মত ও ভালো ভালো কাজগুলো আমি করতে চাই। এছাড়া এভ্রিল ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করতে চাই।  আমি আমার জীবনটা বাংলাদেশের অসহায় মেয়েদের জন্য উৎসর্গ করে দিতে চাই। অতীতে আমার জীবনে যা হওয়ার হয়েছে, সব ভুলে আমি নতুনভাবে সবকিছু শুরু করতে চাই।   আর যখন ক্যারিয়ার নিয়ে একটু স্থির হয়ে যাবো তখন আমার ইচ্ছা, দেশের বাইরে গিয়ে পিএইচডি করা। ছোটবেলা থেকেই  এটা আমার স্বপ্ন।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর