জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব আসামির ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে বসানো আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক মো. আখতারুজ্জামান।
রায়ের সময় খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
সাত বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার চার আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
আসামিদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কাকরাইলে থাকা জমি রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য তিনজন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে অনুযায়ী ওই মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এর আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
