দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের সঠিক সময়

দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের সঠিক সময়

দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের সঠিক সময়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের জন্য একজন মায়ের এক বছর সময় নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন গবেষকরা।

গবেষকরা মনে করছেন, এ সময় নেওয়া হলে সেটি মা ও বাচ্চার কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইনে ১৮ মাস বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া আছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকরা বলছেন, ১৮ মাস নয়, এক বছরই যথেষ্ট, আঠার মাস বিরতি না দিলেও চলবে।

সাধারণত দুবার গর্ভধারণের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম হলে তা অপরিপক্ব বাচ্চা কিংবা আকারে ছোট বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। সেই সঙ্গে নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু ঝুঁকিও জড়িত।

গবেষকরা বলছেন, নতুন গবেষণালব্ধ উপাত্ত বয়স্ক নারীদের জন্য সহায়ক হবে।

সিনিয়র একজন গবেষক ড. ওয়েন্ডি নরম্যান বলছেন, ৩৫ এর বেশি বয়সী নারীদের যারা আবারো মা হতে চান তাদের জন্য ভালো খবর আছে।

জামা ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত সম্প্রতি এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের উদ্যোগে ক্যানাডায় প্রায় দেড় লাখ শিশু জন্মদানের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।

গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এক থেকে দেড় বছর সময়সীমাটি আদর্শ সময় দুবার গর্ভধারণের বিরতির সময় হিসেবে।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এটি দুটি বছর হওয়া উচিত এবং কোনোভাবেই দেড় বছরের কম হওয়া উচিত নয়।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে:

১। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ করলে সেটি যে কোনো বয়সের নারীর জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

২। কিছু ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বেশি বয়সের নারীর জন্য ঝুঁকি বেশি, তবে সব নবজাতকের জন্য ঝুঁকির।

৩। শিশু জন্মের ছয় মাসের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী কোনো নারী আবার গর্ভবতী হলে সেটি মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

৪। তরুণী কেউ ছয় মাসে আবার গর্ভবতী হলে তার ঝুঁকি আট শতাংশের মতো। এক্ষেত্রে অপরিপক্ব বাচ্চা জন্ম নিতে পারে।

তবে গবেষকরা বলছেন, বেশি বয়সী নারীদের জন্য এটি যুক্তিযুক্ত। যেহেতু গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে ক্যানাডায় তাই এটি কি করে বিশ্বের সর্বত্র প্রয়োগযোগ্য হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

গবেষক ড. সোনিয়া হার্নান্দেজ বলছেন, গবেষণায় বিভিন্ন বয়সী নারীদের বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। তার মতে অল্প সময়ের ব্যবধানে গর্ভধারণ আসলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণেরই বহিঃপ্রকাশ, বিশেষ করে তরুণীদের ক্ষেত্রে।

এক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন গবেষকরা, যেগুলো অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমতে পারে। তাছাড়া তারা মনে করেন, নারীদের জন্য বিশেষজ্ঞ সহায়তাও আরও সহজলভ্য হওয়া উচিত।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর