শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে নিয়োগ দেয়ায় দেশটিতে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলের।
মূলত শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে চীনঘেঁষা। সেজন্যই দিল্লির বেশি দুশ্চিন্তা।
আর সিরিসেনা যেভাবে বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে তার জায়গায় রাজাপাকসেকে বসিয়েছেন তাতে দেশটিতে রাজনৈতিক তথা সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সংসদ অধিবেশন। বিক্রমসিংহে এটাকে অগণতান্ত্রিক অভ্যুথ্থান হিসেবে বর্ণনা করেছেন।বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র নীতিতে কিছুটা ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেছেন।
রাজাপাকসের আমলেই ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর অর্থ ঢেলেছিল চীন। এমনকি চীনের টাকায় দক্ষিণে নিজের নির্বাচন কেন্দ্রে হামবানটোটা বন্দর তৈরি করতে গিয়ে নাকানি-চুবানি খেয়ে শেষ পর্যন্ত বেইজিংকেই তা বিক্রি করে দেন রাজাপাকসে।
আর গুঞ্জন আছে রাজাপাকসের ক্ষমতা হারানোর পেছনে নাকি দিল্লি কলকাঠি নেড়েছে। এমন পরিস্থিতে ভারতপন্থি বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে দেয়ায় স্বাভাবিকভাবে উদ্বিগ্ন দিল্লি। কেননা রাজাপাকসে আবারও চীনের জন্য শ্রীলঙ্কার দরজা খুলে দিতে পারে। তাই ভূ-রাজনীতিতে চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা ভারত স্বাভাবিকভাবেই চাইবে বিক্রমাসিংহে আবারও ক্ষমতায় ফিরুক।
চীন নানাভাবেই এই অঞ্চলে তার ডানা বিস্তার করে চলেছে। যেমন- ভুটান, নেপাল এবং দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা। সম্প্রতি মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থি আবদুল্লাহ ইয়ামিন পরাজিত হয়েছেন। আর সেই লোকসানটাই হয়তো শ্রীলঙ্কা দিয়ে পুষিয়ে নিতে চাইছে চীন। ভুটানেও শক্ত অবস্থান তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে চীন। যদিও ভুটান এখনও ভারতের ওপর নির্ভরশীল। আর চীনের সঙ্গে ভুটানের কূটনীতিক সম্পর্কও নেই। তাই সেখানে খুব সহজেই পেরে উঠবে না চীন।
NEWS24▐ কামরুল