সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা ৬ নভেম্বর

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। 

সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা ৬ নভেম্বর

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপের পর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ৬ নভেম্বর জনসভার কর্মসূচি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, আগামী ৬ নভেম্বর জনসভা করার জন্য ইতিমধ্যে তাঁরা অনুমতি চেয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে ও পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত বলেছে, পুলিশের অনুমতি পেলে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

রিজভী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা সামনে রেখে আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি যৌথসভা হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সহিষ্ণুতার শিক্ষা কখনই গ্রহণ করেনি।

ক্ষমতা-স্বার্থের লীলাধিপত্য বজায় রাখতে তারা জনগণকেই ভয় পাচ্ছে। জনগণের মুণ্ডুপাতই হচ্ছে তাদের গ্রহণযোগ্য নীতি।

তার মতে, রাষ্ট্রযন্ত্র হাতে থাকলে সব কিছুই করা যায়। ক্ষমতাসীনদের মামলাগুলো ঝরে যায় আর বিরোধীদের পুষে রাখা যায়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, হানাদারি দুঃশাসনে যাদের হাতে বন্দুক থাকে, তাদের সবাই ভয় পায়। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন-আদালত সবাই নতজানু রাষ্ট্রীয় বন্দুকধারীদের কাছে। সরকারের নির্দেশ ছাড়া কারোরই টু শব্দ করার জো নেই। বাংলাদেশে আইনের শাসন সীমাহীন দূরে নক্ষত্রমণ্ডলীতে অবস্থান করছে।

এর আগে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে জনসভা করার ঘোষণা দেওয়া হলেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছিলেন।

গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বদানকারী ড. কামাল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ শেষে বলেন, এ আলোচনায় বিশেষ সমাধান তাঁরা পাননি। তবে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের বাধা অপসারণের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।

বিএনপির আজকের সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর