‘হাওয়া ভবনে খাওয়ার রাজনীতি করে বিএনপি’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘হাওয়া ভবনে খাওয়ার রাজনীতি করে বিএনপি’

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারে থাকার সময় ময়মনসিংহে পাকিস্তানি বাহিনীর মতো অত্যাচার করেছিল।

শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তার আগে সরকারপ্রধান মঞ্চের পাশে ১৯৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা করি উন্নয়নের রাজনীতি আর বিএনপি করে দুর্নীতির রাজনীতি।

তারা হাওয়া ভবনের নামে খাওয়ার রাজনীতি করেছে।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ তার আপনজনকে হত্যার বিচার চাইতে পারে, আমাদের সেই বিচার চাওয়ার সুযোগও দেওয়া হযনি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে হারানো হয় বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, তারপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারে। তারা মানুষ মারে, নির্যাতন করে, আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কোনো নির্যাতন করে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন, মহানগর সভাপতি এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাক মোহিত উর রহমান শান্ত’র সঞ্চালনায় জনসভায় আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি, আহম্মদ হোসেন, মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল, আব্দুস সাত্তার, মারুফা আক্তার পপি, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন এমপি, শরিফ আহমেদ এমপি, নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি, জুয়েল আরেং এমপি, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলী খসরু, জামালপুর জেলা সভাপতি বাকী বিল্লাহ, শেরপুর জেলা সভাপতি আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেত্রী সাফিয়া ইসলাম, অপু উকিল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিব সরকার, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নোমান/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর