তথ্যের ভিত্তিতেই জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক বলেছি: সিইসি

কে এম নুরুল হুদা I-ফাইল ছবি

তথ্যের ভিত্তিতেই জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক বলেছি: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আবারও 'বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক' বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, 'আমি যা বলেছি, তা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বলেছি। জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক বলে দেওয়া বক্তব্য আমি ওন (ধারণ) করি।  কারণ, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ছিল না।

৭৫ পর্যন্ত গণতন্ত্র ছিল। সেই ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে সংলাপ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন সিইসি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সংলাপের মাধ্যমে আস্থা অর্জন হয়েছে।

তাই সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে সেটাই আশা করে নির্বাচন কমিশন।  

তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে সরকারের কোনো কর্মকর্তার কোনো ফোন আসেনি। আগামীতে যদি আসে তাহলে তা প্রত্যাখান করা হবে। বিদ্যমান আইনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করি। আর সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, সংলাপকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। সাংবিধানিক, আইন প্রনয়ণ ও ইসির করণীয়। সাংবিধানিক বিষয়গুলো সরকারের কাছে। যদি সরকার তা বাস্তবায়ন না করে সেটা নিয়ে চাপ প্রয়োগের সুযোগ কমিশনের নেই। আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। ইসির করণীয় ইসি ঠিক করবে।

সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দূরত্ব ঘুচাতে কমিশন কোনো উদ্যোগ নেবে না। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিকভাবে হওয়া উচিত।  

প্রসঙ্গত, এর আগে বিএনপি'র সঙ্গে সংলাপে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেছিলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ছিলেন জিয়াউর রহমান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ও দল নেতা হিসেবে তিনি ৬ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি প্রায় ৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছে। পরে ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ২১০ আসনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে।

তার এই বক্তব্যের পরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় ওঠে। তার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে সংলাপ বয়কট করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। একইসঙ্গে সিইসির পদত্যাগ দাবি করেন দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

সম্পর্কিত খবর