বিয়েতে বর-কনের রক্ত পরীক্ষা নিয়ে রুল

বিয়েতে বর-কনের রক্ত পরীক্ষা

বিয়েতে বর-কনের রক্ত পরীক্ষা নিয়ে রুল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিয়ের আগে বর-কনের রক্তে মাদক ও থ্যালাসেমিয়া আছে কি না-তা পরীক্ষা করা, বিয়ের আগে মেডিকেল সনদ দাখিল এবং বাংলাদেশের সব চাকরিতে যোগদানের আগে ডোপ টেস্ট কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক এবং পুলিশের আইজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।

ওই রিট আবেদনে উল্লেখ খরা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত  রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা। এ ছাড়া দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ মাদকাসক্তি।

বিট আবেদনে বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশি পরিষদের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে স্বামীর শারীরিক অক্ষমতা। আর ইয়াবা, হেরোইন ও অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদক সেবনে তারা পুরুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী বর-কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর ধারামতে ডাক্তারি সনদ (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যৎ সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে।

আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৬৫ ভাগ তরুণ। বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ এই মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের সালিশী পরিষদের তথ্য অনুযায়ী নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে বিবাহের অক্ষমতা (পুরুষত্বহীনতা)। হেরোইন, ইয়াবা অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদক সেবনে বিবাহের সক্ষমতা (পুরুষত্ব) পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

ওই আইনজীবী আরও জানান, সংবিধানের ২১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিক জীবন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে গ্রহণ করার কথা আদালতে বলেছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে আজ উল্লেখিত আদেশ দেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর