বিএনপির কাছে ১০০ আসন চাচ্ছেন শরিকরা

ফাইল ছবি

বিএনপির কাছে ১০০ আসন চাচ্ছেন শরিকরা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসার ঘোষণার পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে এ আশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

ঐক্যফ্রন্টের শরিক বেশ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে নিজ দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ফেলেছে।

দু’একটি দল প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে এসব তালিকা জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপি মহাসচিবের হাতে তুলে দেয়া হবে।

এর পরই কে কতটি আসনে নির্বাচন করবে, সেটি নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে বসবেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এ জোটের শীর্ষ নেতারা।

বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে, এখনও ঠিক হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে-নির্বাচনী কৌশল ও ভোটের জটিল হিসাব-নিকাশে শেষ পর্যন্ত তারা ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে ১০০ আসন দাবি করবে শরিকরা। এ নিয়ে দরকষাকষি হবে। দরকষাকষির চূড়ান্ত পর্যায়ে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হলে সমঝোতায় আসবে জোটের শরিকরা।

ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা যে ১০০ আসন চাইবে, সেগুলোর মধ্যে গণফোরাম প্রাথমিকভাবে ৪৫ প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছে।

ফ্রন্টের অন্যতম শরিক আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি তৈরি করেছে ২৫ জনের প্রার্থী তালিকা।

মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ১৫, বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ ১০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঠিক করেছে।

এর বাইরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে পাঁচজনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরাম সভাপতি ড. কামালের ডাকে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও সাবেক আমলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তারা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে নির্বাচন করবেন।

এদের মধ্যে রয়েছেন-ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রমুখ।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শরিক দলগুলোর নেতারা কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে চান, তার তালিকাও চাওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত হয়, দু-একদিনের মধ্যে জোটের শরিকরা যার যার দলের তালিকা চূড়ান্ত করবে। এর পর ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। হাতে সময় কম থাকায় যত দ্রুত সম্ভব প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করারও সিদ্ধান্ত হয় এ বৈঠকে।

এ তালিকা আসার পর প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি। এ কমিটিতে জোটের সব দলের প্রতিনিধি রয়েছেন। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নির্বাচনে শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের মত প্রাধান্য পাবে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু (ঢাকা-২ অথবা ঢাকা-৩), জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব (লক্ষ্মীপুর-৪), কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৮ ও ৪), নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২) এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) আসন থেকে নির্বাচন করবেন।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর