খাসোগি ইস্যুতে ‘ফেঁসেই গেল’ সৌদি আরব

সালমান-খাসোগি।

খাসোগি ইস্যুতে ‘ফেঁসেই গেল’ সৌদি আরব

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

যুবরাজ সালমানই দেশটির রাজতন্ত্র-বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। অবশেষে এ সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খাশোগি।

মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট শুক্রবার সংশ্লিষ্ট অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে।

জানানো হয়, সিআইএ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, মোহাম্মাদ বিন সালমানই খাসোগিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন যদি সৌদি আরবের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে আমেরিকায় বসবাসরত খাসোগি ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

দৈনিকটি আরো জানিয়েছে, সিআইএ যেসব তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ছোট ভাই ও আমেরিকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে খাসোগির টেলিফোনালাপ। ওই ফোনালাপে খালিদ খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গিয়ে সৌদি কনস্যুলেট থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেন এবং এই নিশ্চয়তা দেন যে, তার কোনো ক্ষতি হবে না।

কিন্তু খাসোগি সেখানে গিয়ে নিহত হন এবং এর দুদিন পরই খালিদ বিন সালমান আমেরিকা থেকে তড়িঘড়ি করে সৌদি আরবে ফিরে যান। তাকে আর ওয়াশিংটনে ফেরত পাঠানো হয়নি বরং অন্য কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

‌‌‘খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে করা একটি ফোনকলও আমলে নিয়েছে সিআইএ। ওই ফোনকলে খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘাতক দলের সদস্য মাহের মুতরেব জানান, অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে’- ওয়াশিংটন পোস্ট এসব কথা জানিয়েছে।  

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের কাছে ১১ হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রির স্বার্থে খাসোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের হাত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে এতদিন যেসব বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন সিআইএ’র এই মূল্যায়নের পর তা আর সম্ভব হবে না। আমেরিকার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে খাসোগি হত্যার জন্য সৌদি যুবরাজকে দায়ী করা হয়নি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর