আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: পুলিশসহ আহত ১২

আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: পুলিশসহ আহত ১২

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভৈরবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি দোকানসহ বিএনপি অফিস ভাঙচুর করা হয়।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শহরের চণ্ডিবের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, আহতরা হলেন- পুলিশের এসআই অভিজিৎ, কনেস্টেবল আবদুল হাকিম, কনেস্টেবল আবদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আক্তার হোসেন, যুবদল নেতা জসীম উদ্দিন, পৌর যুবলীগ সভাপতি ইমন রহমান ইমন, ছাত্রলীগ নেতা রাকিব, সোহরাব, প্রান্ত, আমজাদ, সুব্রত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভৈরবে বিএনপির সভায় হামলার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষের সময় আক্তার নামের এক ব্যক্তির ঔষধের ফার্মেসিসহ তিনটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এদিকে রাত সাড়ে আটটায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ লীগের কর্মীরা উপজেলা বিএনপির শহরের ডালপট্রির অফিস ও একটি ভেনিস বাংলা রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করে।

রোববার সন্ধ্যার পর উপজেলা বিএনপির নির্বাচনী একটি জনসভা শহরের চন্ডিবের এলাকায় শুরু হয়। এ সভা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়।

ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি শাহীন জানান, নির্বাচন নিয়ে চন্ডিবের এলাকায় বিএনপির একটি কর্মিসভায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালায়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের সভায় হামলা চালায়। তারা ভৈরব বাজারে গিয়ে বিএনপির অফিসসহ একটি রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ভৈরব পৌর যুবলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন জানান, আমাদের কর্মীরা ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতে চন্ডিবের গেলে বিএনপির কর্মীরা আমাদের কর্মীর ওপর আক্রমণ করে।

ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক অভিজিৎ জানান, দুদলের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশও আহত হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর