‌‘নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই খালেদা জিয়ার’

খালেদা জিয়া

‌‘নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই খালেদা জিয়ার’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা নেই।

সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কে কী বললেন, তার ওপর খুব বেশি কিছু নির্ভর করে না।

তিনি এখন পর্যন্ত নির্বাচন করার যোগ্য আছেন। খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

নির্বাচন কমিশন এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি। তফসিল ঘোষণার পরেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে।

সরকার একটি নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয় না। বলেন বিএনপির শীর্ষ এই নেতা।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে আপিল করা হয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে জজ আদালতের দেওয়া সাত বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করার ‌একদিন পর আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হলো।

খালেদা জিয়া আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, একটি মিথ্যা, বানোয়ট, ভূয়া মামলার রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ভেবেছিলাম এখানে প্রতিকার পাবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে হাইকোর্টে এ মামলার শুনানির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হলো। পাক-ভারত উপমহাদেশে এটা নজিরবিহীন ঘটনা।

তিনি বলেন, তাছাড়া আমরা আমাদের আপিল শুনানি শেষ না করার আগেই রায়ের দিন ঘোষণা করা হলো। দুদকের সাজা বাড়ানোর আবেদনেও আমরা শুনানি কমপ্লিট করতে পারিনি। সে অবস্থায়ই রায় ঘোষণা করা হলো।

রায়ে বিচারিক আদালতের সাজা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার ঘটনাও ‘নজিরবিহীন’ দাবি করেন।

এই আইনজীবী বলেন, আপিলে সাধারণত সাজা কমে। কিন্তু খালেদা জিয়ার বেলায় সেটারও ব্যতিক্রম হল। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিএনপি নেতারা আশা করছেন, এই দুই মামলায় সাজার রায় স্থগিত হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ তৈরি হবে।

‘আপিল করায় নিম্ন আদালতের রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে গেছে। এখন এ মামলার কারণে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই। ’ এ কথা বলেন খালেদা জিয়ার মামলার প্যানেল আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর