রাজশাহীতে নিউজ টোয়েন্টিফোর'র ব্যুরো প্রধানকে হত্যাচেষ্টা

প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

রাজশাহীতে নিউজ টোয়েন্টিফোর'র ব্যুরো প্রধানকে হত্যাচেষ্টা

একজন গ্রেপ্তার, নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার দাবি সাংবাদিক নেতাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি, নিউজ টোয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান কাজী শাহেদকে পিস্তল হাতে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর মুন্সিডাঙা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা হলে পুলিশ এস এম আবদুল কাজিম ওরফে বাবু নামের এক হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন কাজী শাহেদ।

সোমবার সকালে গ্রেপ্তার বাবুকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

এদিকে সাংবাদিক কাজী শাহেদকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে নগরীতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন। সকালে নগরীর জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রমাণিক, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি কামার উল্লাহ সরকার, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমান, মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, বিএফইউজে সদস্য আনিসুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।

সাংবাদিক কাজী শাহেদ জানান, তিনি অলোকার মোড় থেকে তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পেছন থেকে পিস্তল হাতে নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে বাবুসহ তার এক সহযোগী। বিষয়টি টের পেয়ে শাহেদ দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে তার বাড়ির কাছের গলিতে ঢুকে পড়েন। এরপর নগর পুলিশের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এরপর পুলিশ গিয়ে শাহেদকে উদ্ধার করে।

পরে পুলিশ হামলাকারী বাবুকে আটক করে। তবে তার সহযোগী অপর একজন পালিয়ে যায়। পরে কাজী শাহেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন বলে জানান বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ।

সম্পর্কিত খবর