ইসি সচিব ও ডিএমপি কমিশনারসহ চারজনের শাস্তি দাবিতে চিঠি

ফাইল ছবি

ইসি সচিব ও ডিএমপি কমিশনারসহ চারজনের শাস্তি দাবিতে চিঠি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান এবং ডিএমপির সংশ্লিষ্ট জোনোর উপ পুলিশ কমিশনারের বিচারের দাবি করেছে বিএনপি।  

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে দলের পক্ষ থেকে চিঠি দেয় বিএনপি। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণবিধি পালন সংক্রান্ত চিঠি দেয়ার পর মনোনয়ন ফরম বিক্রির তৃতীয় দিনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণবিধি পালন সংক্রান্ত চিঠির পরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে দলটি।

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়। বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে এই বিচারের দাবি করা হয়।  

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পরের দিন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাস্তা বন্ধ করে যানজট সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঢাক ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল, গাড়ি, পিকআপে করে বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমন্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে।

এছাড়া নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে দুইজন নিহত হয়।

এ সময় পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। অথচ বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্বতস্ফূর্তভাবে জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়েচড়ে বসে। ‘কথিত আচরণবিধি’-এর নামে খড়গ নেমে আসে বিএনপির ওপর। ইসি সচিব গণমাধ্যমে আচরণবিধি পালনের কঠোর হুমকি নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করে। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ।  

১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা নেতাকর্মী, সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা সংগঠনের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে প্রশ্ন রাখা হয়- আওয়ামী লীগের জনসমাগমে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি,  কিন্তু বিএনপির সময় ১৪ নভেম্বর এ ঘটনা কীভাবে ঘটল?
চিঠিতে দাবি করা হয়, এই ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় ৪৭২ জন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করেছে। ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ৩৮ জন নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর