মরা তিমির পেট কেটে হতবাক পরিবেশবাদীরা

তিমির পেটে জুতো-স্যান্ডেল-প্লাস্টিকের বোতল

মরা তিমির পেট কেটে হতবাক পরিবেশবাদীরা

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

মরা তিমির পেট থেকে বের হলো প্রায় ছয় কেজি প্লাস্টিক। এর মধ্যে রয়েছে ১১৫টি পানি খাওয়ার কাপ, ৪টি বোতল, ২৫টি ব্যাগ, একজোড়া স্যান্ডেল, ১৯ পিস শক্ত প্লাস্টিক ও সোয়া তিন কেজি ওজনের দড়ি।

ইন্দোনেশিয়ার একটি ন্যাশনাল পার্কের জলাশয় থেকে মৃত তিমিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে প্রতি বছর এমন অসংখ্য সামুদ্রিক প্রাণি মারা যাচ্ছে।

অনেক প্রাণি বিপন্নের পথে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। চলতি বছরের জুনে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাংশের একটি জলাশয়ে একটি পাইলট তিমিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিমিটি একপর্যায়ে বমি করে ৮০টি প্লাস্টিকের ব্যাগ বের করে দেয়।
পরে ওই তিমিটির মৃত্যু হয়।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচার (ডব্লিউডব্লিউএফ) ইন্দোনেশিয়ার সামুদ্রিক প্রজাতি সংরক্ষণ টিমের কো-অর্ডিনেটর ডোয়াই সুপ্রপতি বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, স্তন্যপায়ী এই প্রাণিটির মৃত্যুর সংখ্যা আমরা এখনো কমাতে পারিনি। বিষয়টা সত্যিই উদ্বেগজনক।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩১ ফুটের এই তিমিটি ইন্দোনেশিয়ার ওকাতোবি ন্যাশনাল পার্কের কাপোতা দ্বীপের তীর থেকে সোমবার উদ্ধার করা হয়।

ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য প্লাস্টিকের ব্যবহার একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ সালে পরিচালিত একটি জরিপ বলছে, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে যত প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় তার ৬০ শতাংশ সমুদ্রে পতিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক খেয়ে প্রতি বছর শত শত সামুদ্রিক প্রাণি মারা যাচ্ছে।

গত বছরের শেষের দিক জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর ১০০ লাখ টন প্লাস্টিকের বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে মেশে। এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে সামুদ্রিক প্রাণির জীবন। হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র।

সম্পর্কিত খবর