তাইজুল-নাইমের ব্যাটিংয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের

ছবি সংগৃহীত

তাইজুল-নাইমের ব্যাটিংয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শেনন গ্যাব্রিয়েল বল ছুড়ছেন নাকি বুলেট ছুড়ছেন সেটা দেখার সময় কই অভিষিক্ত নাইম হাসানের! নাইম তো জানেই না গ্যাব্রিয়েলের বল কেমন। তাইজুল তো জেনেশুনেই বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন দিনের শেষ সেশনে।

ডাউন দ্যা উইকেটে এসে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ক্যারিবীয় গতি দানবদের। ২২২ রান পর্যন্ত ৩ উইকেট ছিল বাংলাদেশের।

এরপর বাকি ১৩ রানে অর্থাৎ, ২২২ থেকে ২৩৫ রানের ভেতর একে একে বিদায় নেন শতক হাঁকানো মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডটা একাই ভেঙে দেন গ্যাব্রিয়েল।

এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর অভিষিক্ত নাইম। দুজনের জুটি থেকে আসে ২৪ রান।

তাতে মিরাজের একার ২১ রান।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চোট কাটিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ফেরেন সাকিব  আল হাসান।

ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই কেমার রোচের বলে ক্যাচ তুলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মের তুঙ্গে থাকা সৌম্য সরকারকে।

বিপদ কাটিয়ে সামলে উঠার চেষ্টা আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসের। দুই নম্বরে ব্যাট করতে আসা মুমিনুল হক শুরু থেকেই চড়াও হন ক্যারিবীয় পেসারদের উপর।

দুইজনে মিলে জুটি গড়েন ১০৪ রানের। আর ছয়টা রান হলে টেস্টে নিজের পঞ্চম অর্ধশতকটা পেয়ে যেতেন তবে জোমেল ওয়ারিকানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল।

মুমিনুল তাঁর সঙ্গী হারালেও কখনও মোহাম্মদ মিঠুন কিংবা সাকিবকে নিয়ে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক! চলতি বছরে এটি ছিল তাঁর চতুর্থ শতক। চট্টগ্রামের মাঠে যা ষষ্ট।

১৬৭ বলের লম্বা ইনিংসে দশ চার আর এক ছয়ে করেন ১২০ রান। রানের ক্ষুধা তাঁর এত কম রানে মেটার কথা না যে সেটা সাজঘরে ফেরার পথে মাথা ঝাঁকানোতেই স্পষ্ট।

ফেরার ম্যাচে বড় ইনিংসের খেলার ইঙ্গিত দিয়েও সাকিব ফেরেন ৩৪ রানে। মিঠুন ২০, মুশফিকের ৪ আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফেরেন মাত্র ৩ রানে।

দিনের শেষ সেশনে যখন অল আউট হবার শঙ্কা, তখন পুরোদস্তর ব্যাটসম্যান হয়ে উঠলেন নাইম হাসান আর তাইজুল ইসলাম।
এই দুই টেলএন্ডারের সামনে নতুন বল নিয়েও কিছু করতে পারেননি রোচ-গ্যাব্রিয়েলরা। উল্টো রান দিয়েছেন দ্রুত।
প্রথম দিন শেষে নাইম অপরাজিত আছেন ৬০ বলে ২৪ রানে আর তাইজুল আছেন ৫৭ বলে ৩২ রান নিয়ে। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১৫ রান।

শেনন গ্যাব্রিয়েল নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি নিয়েছেন ওয়ারিকান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ আর ক্রেইগ 


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর