সমুদ্রসীমা নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা তুঙ্গে

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টারের মহড়া (ফাইল ফটো)

সমুদ্রসীমা নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা তুঙ্গে

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

ক্রিমিয়ার কাছে কৃষ্ণসাগরের সীমানা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে অচলাবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার সীমান্তরক্ষীরা কৃষ্ণসাগরে তাদের একটি টাগবোটে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ অবৈধভাবে ক্রিমিয়ার সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়েছে।

ক্রিমিয়ার সীমান্তরক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে রুশ গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, রোববার মস্কো সময় সকাল সাতটার দিকে ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ ক্রিমিয়ার সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়ে। এর মাধ্যমে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশনের ১৯ ও ২২ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে ইউক্রেন।  

এদিকে ইউক্রেনের নৌবাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার সীমান্তরক্ষীরা কৃষ্ণসাগরে তাদের একটি টাগবোটে হামলা চালিয়েছে যা প্রকাশ্য আগ্রাসী তৎপরতা। দুটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি টাগবোট আযব সাগরের মারিওপোল বন্দরে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা করে রুশ সীমান্তরক্ষীরা।

রুশ হামলার কারণে ইয়ানা কাপু নামে একটি টাগবোটের ইঞ্জিন, রেলিং ও বাইরে থাকা কামান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় সীমান্তরক্ষা বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জাহাজের আগ্রাসী তৎপরতার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে মস্কো।

প্রসঙ্গত, আযব সাগর নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টিতে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো। চলতি বছরের প্রথম দিকে ক্রিমিয়ার কাছ থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার দুটি জাহাজ আটক করলে দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা মারাত্মক আকার ধারণ করে। মস্কো এ ঘটনাকে ‘সমুদ্র সন্ত্রাস’ বলে আখ্যায়িত করে এবং আযব সাগরে রুশ সেনা টহল বাড়িয়ে দেয়া হয়। রাশিয়ার এ পদক্ষেপকে অবৈধ বলে মন্তব্য করে ইউক্রেন। এছাড়া আযব সাগরের কৌশলগত কের্চ প্রণালীতে রাশিয়া একটি সেতু তৈরি করেছে যা রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করেছে। এই সেতু নিয়েও স্নায়ুচাপ বাড়ছে।

এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থিত আযব সাগরে অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টির বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য ও ইউরোপের দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে মস্কো। মস্কো বলেছে, রাশিয়ার ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের অজুহাত তৈরির জন্য এ ইস্যু তৈরি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর