কে বেশি ধূমপান করে নারী না পুরুষ?

ধূমপান

কে বেশি ধূমপান করে নারী না পুরুষ?

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ধূমপান একটি মারাত্মক ব্যাধি, অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিপদজনক রোগ। কিন্তু তিক্ত হলে ও সত্য দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ এ ধরণের একটি মারাত্মক ব্যধিতে আক্রান্ত। এর ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে জানে না, এমন লোক খুব কমই আছে। ধুমপান রক্ত প্রবাহে ভীষণ চাপ সৃষ্টি করে এবং যার ফলে পুরুষদের ঋজুভাবকে ক্ষতি করে৷ তাই খুব স্বভাবিকভাবেই সেক্স লাইফকে ক্ষতি করে বিষণ্ণতার ও মানষিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েন৷ সিগারেটের মধ্যে থাকা নিকোটিন শরীরের ধমনীর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি অ্যাসিড জমায়েত করে৷ 

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, ধূমপায়ী পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়।

ধূমপানের ফলে বেড়ে যায় বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি। শুধু পুরুষদেরই নয়, মেয়েদেরও ঊর্বরতাও কমিয়ে দেয় ধূমপান, মেন্সট্রুয়াল সাইকল অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে এই ধূমপানের ফলে। ঋতুস্রাবের (মেনোপজ) সময় এগিয়ে আসে। সার্ভিক্স-সহ অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
কলকাতায় প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষের এই অভ্যাস রয়েছে।

সাম্প্রতি এক সমীক্ষা জানা গেছে, ভারতে প্রায় ৯ কোটি পুরুষ ও ১.৩ কোটি নারী রয়েছে এই অভ্যাস।

বর্তমানে রাস্তাঘাটে নারীদের ধূমপান একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরাই ধূমপানে বেশি আসক্ত। ‘অ্যাসোচ্যাম’ নামের একটি সংস্থার এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর, পুনে, মুম্বাই এবং লখনৌ এই শহরগুলির ২২ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২০০০ জন নারীর উপরে করা এই সমীক্ষায় জানা গেছে দিনে ছেলেদের তুলোনায় মেয়েরাই বেশি ধূমপান করেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, যেসব নারী ধূমপান করেন, তার মাত্র ২ শতাংশই অতিরিক্ত সিগারেটের প্রতি আসক্ত বা ‘চেইন স্মোকার’। বাকিরা কাজের চাপ বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতেই ধূমপান করে থাকেন। এদের প্রত্যেকেরই শুরুটা ঝোঁকের বশে বা শখ থেকে হলেও পরে তা আসক্তিতে পরিণত হয়।

জানা গেছে, মফঃস্বলের তুলনায় দেশের বড় শহরগুলোতে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা বেশি। অনেকের আবার পছন্দ ফ্লেভার্ড সিগারেট। যেমন, মেন্থল সিগারেট অনেকেই খান। সম্প্রতি এক মার্কিন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মেন্থল সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকারক।

বিখ্যাত একটি মার্কিন তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মিচ জেলার একটি সাক্ষাত্কারে জানান, মিন্ট সিগারেটে তামাকের পরিমাণ মোটেও কম থাকে না। সাধারণ সিগারেটের মতোই একই পরিমাণ তামাক থাকে। এরই সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিশেষ রাসায়নিক যা সিগারেটে মিন্ট স্বাদ এনে দেয়। ফলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর!

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর