ময়মনসিংহে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

ময়মনসিংহে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ১১টি আসনে ১১৬ প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস। আর সদর আসনের বিএনপির প্রার্থী ও ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ হোসেনের প্রার্থীতা প্রথমে স্থগিত করলেও পরে বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়াও পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় পাঁচ উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, হলফনামায় তথ্য গড়মিল, স্বাক্ষর না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় বিএনপির চার ও আওয়ামী লীগের এক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) থেকে আবুল বাশার আকন্দ, ময়মনসিংহ-৩(গৌরীপুর) থেকে আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরণ, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) থেকে কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) থেকে জয়নাল আবেদিন ও ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) থেকে মাহমুদ হাসান সুমন উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে গত বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে সুমন আওয়ামী লীগ এবং বাকীরা বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়া অন্যরা হলেন- ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আনোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ ২- (ফুলপুর-তারাকান্দা) এমদাদুল হক খান, আবু বক্কর সিদ্দিক, আবুল বাশার আকন্দ।

ময়মনসিংহ-৩(গৌরীপুর) এ.কে.এম আব্দুর রফিক, মো. মতিউর রহমান, সামিউল আলম, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল মতিন, আলী আহাম্মদ খান পাঠান, নাজনীন আলম, শরীফ হাসান, মোর্শেদুজ্জামান সেলিম। ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আবু সাঈদ মহিউদ্দিন আহমেদ। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) মো. আমজাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মো. সোহেল মিয়া। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) চৌধুরী মো. ইসহাক। ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) এম এ রাজ্জাক খান। ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) মো. হাবিবুল্লাহ, রুহুল আমি, এম এ বাশার। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আব্দুল কাদিও, শহীদুল্লাহ, আলমগীর কবির। ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল, মজিবুর রহমান, হাবিবুল্লাহ ও মজিবুর রহমান। ময়মনসিংহ-১১(ভালুকা) আশরাফুল হক জজ ও আমানুল্লাহ সরকার।

এদিকে সকাল ১০ টা থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। পরে বিকেল পাঁচটায় যাচাই বাছাই শেষ হয়।

তোপের মুখে মুক্তাগাছার এমপি: 
মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে অংশ নিতে আসা মুক্তাগাছার এমপি সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ মুক্তি সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়েন। সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমপি মুক্তি গাড়ি থেকে নামতে চাইলে বাঁধা দেয় কিছু যুবক। এসময় আরো কয়েকজন তার গাড়িকে ঘিরে ফেলে। তাদের দাবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মুক্তি। কিন্তু চাকুরি মেলেনি। পরে গাড়ির ভেতরেই একটি চেকে ৫ লাখ টাকার সই করে উপস্থিত যুবকদের দিলে তারা শান্ত হন। পরে পুলিশি পাহাড়ায় এমপি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যান মুক্তি। এদিকে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি কথা বলেননি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নোমান/তৌহিদ)
 

সম্পর্কিত খবর