স্কুলে নকল করায় বাবা অপমানিত, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

স্কুলে নকল করায় বাবা অপমানিত, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

স্কুলে নকলের অভিযোগে নিজের সামনে বাবাকে অপমান করায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রী। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর শান্তিনগরে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ছাত্রীর নাম অরিত্রি অধিকারী (১৫)।

সে ভিকারুননিসায় নবম শ্রেণিতে পড়ত। ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী বলেন, তাঁর মেয়ের পরীক্ষা চলছে। গতকাল রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পায়।

‘মোবাইলে নকল করছে’ এমন অভিযোগে অরিত্রিকে আজ সোমবার তার বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়।

তিনি জানান, স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আজ দুপুরে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয় অরিত্রি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, সুরতহাল করে অরিত্রির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যু কারণ জানা যাবে।  

ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার গলায় দাগ ছিল। তার ‘নেক টিস্যু’ সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

এদিকে অরিত্রির মৃত্যুর সংবাদ শুনে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ভিকারুননিসার প্রিন্সিপাল নাসরিন ফেরদৌস। সেখানে তিনি অরিত্রির স্বজনদের তোপের মুখে পড়েন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর