বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ থাকবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দুই বছরের অধিক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগের রায়েও খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে।
শনিবার বেলা ১১টায় নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ওটারহাটে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি ঘর গোছাতে পারেনি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি তারা পদে পদে অনুভব করছেন। যে কারণে তাদের মহাসচিবের অফিসে গিয়ে মনোনয়ন বঞ্চিতরা হামলা চালাচ্ছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, যারা মনোনয়ন পায়নি, তারাই হামলা চালাচ্ছে।
বিএনপির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভাঙা হাট আর মিলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভার আকার ছোট বা বড় কি ধরনের হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর তা গৃহীত হবে।
নির্বাচন পরিবেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ঠিকই আছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত কয়েকদিন ধরে নেতাকর্মী নিয়ে এ এলাকায় গণসংযোগ করে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
তিনি বলেন, এ আসনে মওদুদ সাহেবের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তিনি জনগণের কাছে কীভাবে ভোট চাইবেন। গত ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি ২২টি কাজও দেখাতে পারবেন না।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
