খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার বিষয় জানা যাবে আজ

ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার বিষয় জানা যাবে আজ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থী হতে পারবেন কিনা জানা যাবে আজ মঙ্গলবার। তিনটি আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য এদিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার শুনানি হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।

সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও নওশাদ জমির। উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ফারুক হোসেন ও একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইনজ্ঞ ইরিনি-মারিয়া গোনারি। শুরুতে এজলাস কক্ষের শেষ সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাকে দেখে বসার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। তখন শেষ সারির একটি বেঞ্চে আইনজীবীরা তাদের পাশে বসান গোনারিকে। শুনানি চলাকালে তাকে নোট নিতে দেখা যায়।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তির ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। সম্প্রতি বিএনপির ৫ নেতা ভোটে অংশ নেবেন- উল্লেখ করে তাদের দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন বিএনপির এক নেতা। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ সাবিরা সুলতানা মুন্নী নামের এক প্রার্থীর সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগ ওই আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন। অর্থাৎ আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। এরপরেও দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হলে তা হবে সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করায় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয় ইসিতে। ইসি সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে সিদ্ধান্ত দেয়। এতে বলা হয়, উনি দণ্ডিত এ কারণে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।

আইনজীবী বলেন, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ যদি ব্যাখ্যা করা হয় তাহলে সেটা হল চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তির পর। এখানে খালেদা জিয়ার আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এখনও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা কোথায়। এছাড়া দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন থাকার পরেও ভোটে অংশ নেয়ার নজির মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ক্ষেত্রে রয়েছে। পরে হাইকোর্ট আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন।

 

NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর