টিকিট না পাওয়ায় বিপিএল বয়কটের আহ্বান আ'লীগ নেতার

বিপিএল লোগো

টিকিট না পাওয়ায় বিপিএল বয়কটের আহ্বান আ'লীগ নেতার

সিলেট ব্যুরো

আজ ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এদিকে  সিলেট পর্ব দিয়ে শুরু হতে যাওয়া বিপিএল ‘বয়কটের’ আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।  

শুক্রবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় নিজের বক্তব্যের একপর্যায়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিপিএল টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ জানান সভামঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে। নেতাকর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী তার বক্তব্যের সময় বলেন, ‘আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী বিপিএল উপভোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

টিকেট পাননি। তাই আমি বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছি। ’ তার এই আহ্বানের সাথে সাথে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে উচ্চস্বরে সমর্থন জানান।

আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানান, ‘শফিকুর রহমান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, আমাদের দল ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী বিপিএল’র টিকেট পাননি। তাই আমি বিপিএল’র উদ্বোধনী আয়োজন দেখতে না যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে সমর্থন দেন। আমরাও সমর্থন দিয়েছি। ’

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আরও বলেন, ‘টিকেট বিক্রিতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। সিলেটের ক্রীড়াপ্রেমীরা টিকেট পাননি। যথাযথ নিয়মে টিকেট বিক্রি হলে হয়তো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতো না। জানি না কী কারণে এমনটি ঘটলো। আমি ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট মানুষ নই। যারা এর সাথে জড়িত তারাই ভালো বলতে পারবেন। ’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর সেলফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. লুৎফুর রহমান। আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. শাহ ফরিদ আহমদ, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, হুমায়ুন ইসলাম কামাল, সাইফুল আলম রুহেল, রইছ আলী, এমাদ উদ্দিন মানিক, অ্যাড. খোকন কুমার দত্ত, তপন মিত্র, এ আর সেলিম, মোমিন চৌধুরী, অ্যাড. আজমল আলী, অ্যাড. বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর,  আলী, সামসুন্নাহার মিনু, শামীম রশীদ চৌধুরী, ডা. নাজরা চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য এ জেড রওশন জেবিন রুবা, মানিক মিয়া, মহসিন কামরান, শেখ আজাদ, জাহিদ সরওয়ার সবুজ, জালাল উদ্দিন কয়েছ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ, সাবেক সহ-সভাপতি রশিদুল ইসলাম রাশেদ, সোহেল আহমদ মুন্না, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর