ধানের শীষের পোস্টারে এবং নৌকার প্রচার মাইকে আগুন

পোস্টারে ও প্রচার মাইকে আগুন

ধানের শীষের পোস্টারে এবং নৌকার প্রচার মাইকে আগুন

বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া-১ আসনে (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা) বিএনপি প্রার্থীর ধানের শীষের পোস্টারে এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা মার্কার প্রচার মাইকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার সন্ধ্যার পর সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া বাজারে ধানের শীষের পোস্টারে এবং রাত সাড়ে সাতটার দিকে কালিতলা বেড়িবাধে নৌকা মার্কার প্রচার মাইকে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া রাত আটটার দিকে সোনাতলা উপজেলার চড়পাড়া বাজারে ধানের শীষের পোস্টারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন রেজা অভিযোগ করেন, বুধবার বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার লাগানোর পর আরো প্রায় ৩ হাজার পোস্টার অফিসে রেখে দেয়।

সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে হাসনাপাড়া বাজারে লাগানো ধানের শীষের পোস্টার সবগুলো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা খুলে নেয়। এরপর হাসনাপাড়া বাজারের সেসব স্তুপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা বিএনপি অফিসে রাখা ধানের শীষের পোস্টারগুলোও বের করে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা সদরের অদূরে কালিতলা বেড়ী বাঁধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা মার্কার প্রচার মাইক ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর নৌকা মার্কার প্রচার চলাকালে বেড়ি বাঁধে সরকার পাড়া নামক স্থানে প্রচার মাইক আটকিয়ে তা ভাঙচুর করে বিএনপির নেতাকর্মিরা। পরে সেই মাইকে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়।

সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন জানান, নৌকা মার্কার প্রচার মাইক ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ধানের শীষের পোস্টার পোড়ানোর বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

এদিকে, সোনাতলা উপজেলার চড়পাড়া বাজারে রাত আটটার দিকে ধানের শীষের পোস্টারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  

বগুড়া-১(সোনাতলা- সারিয়াকান্দি) আসনের বিএনপি প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ধানের শীষে শতাধিক পোস্টার খুলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। টহল পুলিশের সামনে এঘটনা ঘটলেও পুলিশ নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শরিফুল আলম জানান, পুলিশের সামনে পোস্টারে আগুন দেওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়। বরং পোস্টারে আগুন দেয়ার খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ কোনো পক্ষকেই পায়নি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রউফ/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর