বান্দরবানে এখন পর্যটকের পদচারণায় মূখর হয়ে উঠেছে। টানা তিনদিনের ছুটির সুযোগে দলে দলে ভিড় জমিয়েছেন বান্দরবানে। পর্যটকের আগমনে গত শুক্রবার থেকে শহরের হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই কোথাও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসে সৃষ্টি হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
এদিকে পর্যটকদের রুম দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বেশীরভাগ পর্যটক আগে থেকে রুম বুকিং করে রেখেছেন। তাই নতুন পর্যটকদের রুম দিতে পারছে না বলে জানান হোটেল ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর শীত মৌসুমে পর্যটকের আগমন ঘটে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে।
শহরের স্বর্ণশিলা হোটেলের মালিক মানিক চৌধুরী জানান, টানা তিনদিন সরকারি ছুটি থাকায় ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে এসেছেন পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে।
শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা গেছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সেনাবাহিনীর পরিচালিত নীলগিরি জেলা প্রশাসন পরিচালিত মেঘলা, নীলাচল এবং স্বর্ণ মন্দির সব জায়গা এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। সবাই তাদের প্রিয়জনদের নিয়ে চাঁদের গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে দর্শনীয় সব স্থান। একদিকে নির্বাচনের আমেজ অন্যদিকে পর্যটকদের ভিড় দুই মিলে বান্দরবান এখন পরিনত হয়েছে কোলাহলের নগরীতে। তবে অনেকদিন পর এতো পর্যটকের আগমন ঘটায় খুশি হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পরিবহন সেক্টরের মালিকরা।
পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. কামাল জানান, পর্যটকদের জন্য আমাদের প্রায় ৪০০ চাঁদের গাড়ি রয়েছে। এতো বেশি পর্যটক এসেছে এ গাড়ি দিয়েও আমরা সার্ভিস দিতে পারছি না। এদিকে পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে লক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান নির্বাচনী ডিউটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত সময় পার করছে তবুও পাবর্ত্য জেলা বান্দরবান যেহেতু পর্যটন নগরী তাই প্রচুর পর্যটক এখানে বেড়াতে আসে তাদের কথা মাথায় রেখে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে সাদা পোষাকধারী পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কবির/তৌহিদ)
