নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা শিকার হয়েছে এক শিশু। দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। শনিবার রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত ওই শিশুটির নাম হাসিনা খাতুন (১১)।
সে গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়নের বাইপুর গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত ওই শিশু তার নানার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। রাতে তাকে ঘুমিয়ে রেখে নানা-নানী পাশের বাড়িতে মাদারের গান শুনতে যান। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা তাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজশাহী মহনগরীর কর্ণাহার থানার ওসি সেলিম বাদশা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে নিহত শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, শিশুটি এবার প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা শেষে নানার বাড়ি পবার বারইপাড়াতে বেড়াতে এসেছিল। তার নানার নাম আকবর আলী। শনিবার রাতে শিশুটিকে বাড়িতে রেখে নানা আকবর আলী ও নানী পাশের বাড়িতে মাদারের গান শুনতে যান। শেষ রাতের দিকে নানা-নানী বাসায় ফিরে শিশুটির মৃতদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন।
‘শিশুটি হয়তো ধর্ষণকারীদের চিনে ফেলেছিল। এ কারণে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকারীদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে’, জানান ওসি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)