চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে আরো একজন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভোলাগিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত সম্রাট সীতাকুণ্ড পৌরসদরের মধ্যম মহাদেবপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবুল হোসেনের ছেলে এবং আহত সাজ্জাদ পৌরসদরের নিজতালুক গ্রামের আলী রাজ্জাকের ছেলে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ মনে করছে। উপজেলা যুবলীগ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দাউদ সম্রাট ও একই এলাকার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম প্রকাশ ডাকাত শহীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছিল। প্রায়ই তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটত। আজ সোমবার বিকাল আনুমানিক ৪টায় সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভোলাগিরি এলাকায় ওই ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি দাউদ সম্রাট ও যুবলীগের সদস্য মো. সাজ্জাদকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার বন্ধুরা দুজনকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চমেকে রেফার করেন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্রাটকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পৌর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী শহীদুল ইসলাম প্রকাশ ডাকাত শহীদ বিকেল টারটার দিকে পৌরসদরের ভোলাগিরি এলাকায় যুবলীগের ওই ওয়ার্ড সভাপতি দাউদ সম্রাট ও যুবলীগ সদস্য সাজ্জাদ হোসেনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীতাকুণ্ড থেকে দুইজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা অবস্থায় চমেকে আনা হয়। এখানে আনার আগেই সম্রাট মারা যান বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, দাউদ সম্রাটের সাথে শহীদের পূর্ব থেকেই শত্রুতা ছিল। ইতোপূর্বে শহীদের এক ভাই হত্যার ঘটনায় সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা আছে থানায়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)