আরিফ-লোদী মিলমিশ!

আরিফ-লোদী মিলমিশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্যানেল মেয়র (১) রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর মাঝে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে যাওয়ার আগে লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দিয়ে যাননি আরিফ।

১ম প্যানেল মেয়র হিসেবে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন লোদী। নগরভবনের ভেতরের এই দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত।

আদালতের রায় লোদীর পক্ষে গেলেও নানা কারণে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাননি লোদী। সেই থেকে নগরভবনমুখীও হননি কয়েস লোদী।  
তাদের এই দ্বন্দ্বের ঢেউ লাগে রাজনীতিতেও। নিজ দলের দুই জনপ্রতিনিধির পরস্পরবিরোধী এই অবস্থান ভালোভাবে নেননি বিএনপি নেতারাও।
কিন্তু মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে লোদীর হাউজিং এস্টেটের বাসায় হাজির হন আরিফ। লোদী ও তার মায়ের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। লোদীর বাসায় আরিফের গমনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।

এর মধ্য দিয়ে দুইজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান হয়েছে বলে মনে করছেন নগরভবন সংশ্লিষ্টরা।
নগরভবনের এই দ্বন্দ্বের প্রায় তিন বছর মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল আরিফ-লোদীর। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরও আরিফের পাশে দেখা যায়নি লোদীকে। আগামী সিটি নির্বাচনে আরিফকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মেয়র পদে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন লোদী। এ পরিস্থিতিতে আজ হঠাৎ করেই লোদীর বাসায় হাজির হন মেয়র আরিফ। কুশল বিনিময় করেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের খোঁজ খবর নেন। হঠাৎ লোদীর বাসায় আরিফের যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন গুঞ্জন। অনেকে মনে করছেন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের মধ্যকার বিরোধ নিরসনের অংশ হিসেবে আরিফ বাসায় গিয়ে লোদীর মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ বলেন, ‘মেয়র আরিফের সাথে কাউন্সিলর লোদীর কোন বিরোধ ছিল না। সহকর্মী কাউন্সিলরদের সাথেই মূলত তার বিরোধ ছিল। এনিয়ে নগরভবনে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়েছিল। তারপরও লোদীর বাসায় মেয়র আরিফ যাওয়ায় তাদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সেটারও অবসান হবে বলে মনে করছি আমরা। ’

এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১ম প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘হঠাৎ করে মেয়র আরিফ আমার বাসায় আসেন। তিনি আমার ও আমার মায়ের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদ নিয়ে অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো অনাকাঙ্খিত বলে দাবি করেছেন। আরিফুল হকের কথা শুনে আমার মা অতীতের সবকিছু ভুলে যেতে বলেন। ’

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হাউজিং এস্টেটে তার এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তিনি কয়েস লোদীর বাসায় ওঠেন।  

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর