পাকিস্তান ও চীনের মোকাবিলায় রাফায়েল যুদ্ধবিমান অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করে ভারত। শুক্রবার রাফায়েল চুক্তিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের জবাব দেওয়ার সময় সংসদে এ মন্তব্য করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস ফ্রান্স থেকে রাফায়েল যুদ্ধবিমান ক্রয় চুক্তিতে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করে সংসদের ভেতরে ও বাইরে নানাভাবে সোচ্চার হয়েছেন।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, ‘জাতীয় নিরাপত্তাকে দুর্বল করেছেন মোদি। নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে এনিয়ে ফৌজদারি তদন্ত হবে এবং দোষীদের শাস্তি হবে। ’
‘রাফায়েল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত আট/দশ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখার কারণ আর কিছুই নয়, কংগ্রেস ওই চুক্তিতে টাকা পায়নি। অথচ সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীর জানা দরকার যে, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জামগুলো জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে এরআগে যুদ্ধ হয়েছে। সময়মত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখাই প্রধান উদ্দেশ্য। আমাদের জরুরি অবস্থা বুঝতে হবে। চীন ও পাকিস্তান এরইমধ্যে বড়সড় বহর তৈরি করেছে। ’
‘প্রতিবেশী দেশ যদি এতই বিপজ্জনক হয়, তা হলে ১২৬টির পরিবর্তে ৩৬টি বিমান কেনা হল কেন?’ বলেন রাহুল।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৎ সেজন্য তিনি ক্ষমতায় এসেই দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে দ্রুত রাফায়েল বিমান ক্রয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। ’
কংগ্রেস এমপিরা অবশ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জবাবে কান না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলে স্লোগান দেন।
ক্ষুব্ধ প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে চোর, মিথ্যাবাদী বলার অধিকার আপনাদেরকে কে দিয়েছে? আমাদের সঙ্গে আপনাদের পার্থক্য এটাই যে, আমরা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি করি। আর আপনারা শুধু ডিফেন্সকেই ডিল হিসাবে ব্যবহার করতে জানেন। ’
এদিকে, রাহুল গান্ধী আজ বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংসদে দুই ঘণ্টা ভাষণ দিলেও তিনি আমার সাধারণ দু’টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তিনি এব্যাপারে একটি ভিডিও শেয়ার করে সবাইকে তা দেখার জন্য বলেছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
