ব্রিটেনে সেফ হাউজ পেল বাংলাদেশি সমকামী

ব্রিটেনে সেফ হাউজ পেল বাংলাদেশি সমকামী রশিদ

ব্রিটেনে সেফ হাউজ পেল বাংলাদেশি সমকামী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সারা বিশ্ব থেকে আশ্রয়ের জন্য ব্রিটেনে যাওয়া সমকামীদের জন্য খোলা সেফ হাউজে (নিরাপদ আশ্রয়) আশ্রয় পেয়েছেন এক বাংলাদেশি। তার নাম রশিদ। এছাড়া মারিয়া নামের এল সালভাদরের একজনকেও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

সেফ হাউজটি প্রাথমিকভাবে যাত্রা শুরু করে অক্টোবরে।

নতুন এই সেফ হাউজে সবার আগে বাংলাদেশি রশিদ ও এল সালভাদরের মারিয়া আশ্রয় পেয়েছেন। এ খবর দিয়েছে জি-সিন।

প্রথম সেফ হাউজটিতে মাত্র চারজন মানুষের থাকার জায়গা আছে। একটি দ্বিতীয় সেফ হাউজও নির্ধারণ করা হয়েছে।

এটি আগামী ডিসেম্বরে খোলা হবে। ২০১৯ সালের আগে কমপক্ষে ১৫০ জন সমকামী আশ্রয়প্রার্থীকে এমআরআইয়ের এরকম বিভিন্ন সেফ হাউজ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।

নভেম্বরে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ওয়েইল, গটশাল অ্যান্ড ম্যাঞ্জিস এলএলপির লন্ডন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম সেফ হাউজটির উদ্বোধন করা হয়।

খবরে বলা হয়, সমকামী, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার ও উভলিঙ্গতাবিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান মাইক্রো রেইনবো ইন্টারন্যাশনাল (এমআরআই) সেফ হাউজটি তৈরি করেছে। অন্যদিকে আইন সংস্থাটি এমআরআইকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত কম খরচে বা বিনা খরচে আইনি সেবা দিয়ে আসছে।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে আসা অনেক সমকামী আশ্রয়প্রার্থী এখনো নিরাপদ নয়। বাংলাদেশি রশিদ যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর বেশ কয়েক মাস গৃহহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়। মারিয়াকেও নানা দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।  

এ ব্যাপারে মারিয়া বলেন, ‘আমাকে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে থাকার জন্য যে জায়গা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমি প্রায় প্রতিদিনই শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হতাম। আমি কখনোই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারতাম না। ’

এমআরআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মী সেবাস্টিয়ান রক্কা বলেন, বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ওইসব দেশ থেকে প্রতি বছর এক হাজারের বেশি সমকামী আশ্রয়প্রার্থী আসে যুক্তরাজ্যে।

এমআরআইয়ের সমকামীদের জন্য নির্মিত এই সেফ হাউজ নিয়ে মারিয়া বলেন, আমি এখানে আসার পর সবার আগে কিছুক্ষণ পরিত্রাণের কান্না করি। এরপর আমি আমার কাপড়-চোপড় ও হাই-হিল জুতোগুলো বের করি। আমি কয়েক মাস ধরে এগুলোর ওপর একবারও চোখ বুলাতে পারিনি।

সম্পর্কিত খবর